পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত R ܚܦܬܓ চেয়েই দ্যাখ্য' + তারপর শর্টীমার চড়িয়া খলনা, বাঁদিকে সে একবার চাহিয়া দেখিয়া লইল । ওই যে ছোট খড়ের ঘরটি-প্রথম যেখানে সে ও অপর্ণা সংসাপ্ত পাতে । সেদিনকার সে অপােব আনন্দমািহত্যািটতে সে কি সম্বপ্নেও ভাবিয়ছিল যে, এমন একদিন আসিবে, "যেদিন শান্যদন্টিতে খড়ের ঘরখানার দিকে চাহিয়া “দেখিতে দেখিতে সমস্ত ঘটনাটা মনে হইবে মিথ্যা সর্বপন ? নিনিমেষ, উৎসক, অবাক চোখে সেদিকে চাহিয়া থাকিতে থাকিতে অপর কেমন এক দদািমনীয় ইচ্ছা হইতে লাগিল-একবার ঘরখানার মধ্যে যাইতে, সব দেখিতে । হয়তো অপণার হাতের উননের মাটির ঝিকটা এখনও আছে- আর যেখানে বসিয়া সে অপণার হাতের জলখাবার খাইয়াছিল । প্রথম যেখানটিতে অপণা ট্রান্তক হইতে আয়না-চিরনি বাহির করিয়া তাহার জন্য রাখিয়া দিয়াছিল• • • ট্রেনে উঠিয়া জানালার ধারে বসিয়া থাকে । সেইেটশনের পর সেন্টশন আসে। ও চলিয়া যায়, অপ, শািন্ধই ভাবে বড়দলের তীর, চাঁদাকাঁটার বন, ভাঁটার জল কলকল করিয়া নাবিয়া যাইতেছে, "একটি অসহায় ক্ষদ্র শিশর অবাধ হাসি-অন্ধকার রাত্রে বিকীর্ণ জলরাশির ওপারে কোথায় দাঁড়াইয়া অপণা যেন সেই মনসাপোতার বাড়ির পরাতন দিনগলির মত দন্টুমিভরা চোখে হাসিমখে বলিতেছে- আর কক্ষনো যাবো না তোমার সঙ্গে । আর কক্ষনো না --দেখে নিও । ফালগন, মাস। কলিকাতায় সন্দর দক্ষিণ হাওয়া বহিতেছে, সকালে, একটু শীতও, বোডিংয়ের বারান্দাতে অপ বিছানা পাতিয়া শাইয়াছিল। খাব ভোরে ঘািম ভাঙিয়া বিছানায় শাইয়া শইয়াই তাহার মনে হইল, আজ আর * স্কুল নাই, টিউশনি নাই-আর বেলা দশটায় নাকে-মাখে গজিয়া কোথাও ছটিতে হইবে না-আজ সমস্ত সময়টা তাহার নিজের, তাহা লইয়া সে যাহা খশি করিতে পারে-আজ সে মন্ত ! --মাক্ত ৷-“মন্ত ! --আর কাহাকেও গ্রাহ্য করে না সে - "কথাটা ভাবিতেই সারা দেহ অপােব উল্লাসে শিহরিয়া উঠিল- বাঁধন-ছোড়া মন্তির উল্লাস | বহকাল পর সবাধীনতার আসবাদন আজ পাওয়া গেল । ঐ আকাশের ক্রমবিলীয়মান নক্ষত্রটার মতই আজ সে দর পথের পথিক-অজানার উদ্দেশে সে যাত্রার আরম্ভ হয়ত আজই হয়, কি काव्छ्रे झश ! পালকিত মনে বিছানা হইতে উঠিয়া নাপিত ডাকাইয়া কামাইল, ফাসা কাপড় পরিল। পরাতন • শৌখিনতা আবার মাথা চাড়া দিয়া উঠার দরবন দরজির দোকানো একটা মটকার পাঞ্জাবি তৈয়ারি করিতে দিয়াছিল, সেটা নিজে গিয়া লইয়া আসিল । ভাবিল-একবার ইপিরিয়াল লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখে আসি নতেন বই কি এসেছে, আবার কতদিনে কলকাতায় ফিরি, কে জানে ? বৈকালে মিউজিয়মে রকফেলার ট্রাস্টের পক্ষ হইতে মশক