পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS vefnfrv. দেখায়। শালকুসমের সবাস ভরা অন্ধকার, মাথার উপরকার আকাশে অগণিত নৈশ নক্ষত্র। এখানে অন্য কোন সাথী নাই, তাহার মন ও চিন্তার উপর অন্য. কাহারও দাবী-দাণ্ডুয়া নাই, উত্তেজনা নাই, উৎকণঠা নাই-আছে শােধ সে, আর এই বিশাল অরণ্য প্রকৃতির ককািশ, বংশধর, বিরাট সৌন্দয-আর আছে এই নক্ষত্রভরা নৈশ আকাশটা ৷ বাল্যকাল হইতেই সে আকাশ ও গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতি আকৃলিট। কিন্তু এখানে তাদের এ কি রূপ! কুলীরা সকাল সকাল খাওয়া সারিয়া ঘামাইয়া পড়ে—ব্রামচরিত মিশ্র মাঝে মাঝে অপকে সাবধান করিয়া দেয়, তাম্ববােকা বাহার মাৎ বৈঠিয়ে বাবাজী-শেরিকা বাড়ী ডর হ্যায়-- পরে সে কাঠকুটা জবালিয়া প্রকাশন্ড অগ্নিকুণড করিয়া গ্রীমের রাত্রেও বসিয়া আগন পোহােয়- অবশেষে সেও যাইয়া শইয়া পড়ে, তাহার অগ্নিকুণড নিভিয়া যায়-স্তবন্ধ রাত্রি, আকাশ অন্ধকারণ • পথিবী অন্ধকার-আকাশে বাতাসে অদ্ভুত নীরবতা, অ্যাবলসের তালপাতার ফাঁকে দএকটা তারা যেন অসীম রহস্যভরা মহাব্যোমের বকের সম্পন্দনের মত দিপাদিপ করে, বহিস্পতি সম্পািন্টতার হন, উত্তর-পােব কোণের পর্বতসানির বনের উপরে কালপরিষ উঠে, এখানে-ওখানে অন্ধকারের বকে আগানের আঁচড় কাটিয়া উল্কাপিণড খসিয়া পড়ে। রাত্রি গভীর হইবার সঙ্গে সঙ্গে নক্ষতগলা কি অদ্ভুতভাবে স্থান পরিবতন করে ! আবলস ডালের ফাঁকে তারাগােলা ক্রমশঃ নিচে নামে, কালপরিষ ক্রমে পবিতাসােনর দিক হইতে মাথার উপরকার আকাশে সরিয়া আসে, বিশালাকায় ছায়াপথটা তেরছা হইয়া ঘরিয়া যায়, বহিস্পতি পশ্চিম আকাশে ঢলিয়া পড়ে। রাত্রির পর রাত্রি এই গতির অপবর্ণ লীলা দেখিতে দেখিতে এই শান্ত সনাতন জগৎটা যে কি ভয়ানক রুদ্র গতিবেগ প্রচ্ছন্ন রাখিয়াছে, তাহার স্নিগ্ধতা ও সনাতনত্বের আড়ালে, সে সম্পবন্ধে অপর মন সচেতন হইয়া উঠিল-অদ্ভুতভাবে সচেতন হইয়া উঠিল - জীবনে কখনও তাহার এত ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয় নাই বিশাল নক্ষত্র-জগৎটার সঙ্গে, এ-ভাবে হইবার আশাও কখনও दिक्क छिछ ? অপর বাংলো-ঘরের পিছনে ও দক্ষিণে পাহাড়, পিছনকার পাহাড়তলী আধ মাইলের কম, দক্ষিণের পাহাড় মাইল দই দারে। সামনের বহরদার বিস্তৃত উচুনীচু জমিটা শাল ও পপারেল চারা ও এক প্রকার অধশিক্ষক তৃণে ভরাঅনেক দীর পর্যন্ত খোলা। সারা পশ্চিম দিকচক্রবাল জড়িয়া বহন্দরে বিন্ধ্য পবতের নীল অস্পষ্ট সীমারেখা, ছিন্দওয়ারা ও মহাদেও শৈলশ্রেণী-পশ্চিমা বাতাসের ধলো-বালি যেদিন আকাশকে অবত না করে সেদিন বড় সন্দের দেখায় { মাইল এগারো দরে নাম দা বিজ্ঞান বনপ্রান্ত রের মধ্য দিয়া বহিয়া চলিয়াছে, খাব সকালে ঘোড়ায় উঠিয়া মনান করতে গেলে বেলা নয়টার মধ্যে ফিরিয়া আসা যায় । দক্ষিণে পর্বতসানির ঘন বন নিবিড়, জনমানবহীন, রক্ষা ও গভীর । দিনের শেষে পশ্চিম গগন হইতে অস্ত-সায্যের আলো পড়িয়া পিছনের পাহাড়ের যে অংশটা খাড়া ও অনাবত, তাহার গ্রানাইট দেওয়ালটা প্রথমে হয় হলদে, পরে হয় মেটে সিদরের রং, পরে জারদা রঙের হইতে হইতে হঠাৎ ধসের ও তারপরেই .