পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Pfarrs হটিয়া সেখান হইতে আসিতেছে। গন্তব্য স্থান অনিদ্দেশ্য-এরপে যতদূর যাওয়া যায় যাইবে, সঙ্গে তাঁর ধনক আছে, পথের ধারে বনে মাঠে যাহা শিকার মেলো--তাহাই খায় সম্প্রতি একটা কি পাখি মারিয়াছে, মাঠের কোন ক্ষেত হইতে গোটকয়েক বড় বড় বেগােনও তুলিয়াছে-তােহাঁই পড়াইয়া খাইবার যোগাড়ে শকানো লতা-কাঠি কুড়াইতেছে। তপ বলিল, কি পাখি দেখি ? লোকটা বোলা হইতে বাহির করিয়া দেখাইল একটা বড় হাড়িয়াল ঘাঘ, । সত্যিকারের তাঁর ধনব-যাহাতে, সত্যিকারের শিকার সম্ভব হয়-আপ, কখনও দেখে নাই। বলিল, দেখি এবগছা আঁ'র তোমার ? পরে হাতে লইয়া দেখিল, ম্যুখে শক্ত লোহার ফলা, পিছনে বনোেপাখির পালক বাঁধা-অনুভূত কৌতুহলপ্রদ ও মগধকর छिीनन् !- -আচ্ছা এতে পাখি মরে, আর কি মরে ? লোকটা উত্তর দিল, সবই মারা ধায়া-খরগোস, শিয়াল, বেজী, এমন কি বাঘ পর্যন্ত । তবে বাঘ মারিবার সময় তীরের ফলায়, অন্য একটা লতার রস মাখাইয়া লাইতে হয় ।•• তাহার পর সে তুতাগাছতলায় শকােনা পাতা লতার আগমন জৰালিলি । অপর পা আর সেখান হইতে নড়িতে চাহিল না-মাগধ হইয়া দাঁড়াইয়া দেখিতে লাগিল, লোকটা পাখিটার পালক ছাড়াইয়া আগনে ঝলসাইতে দিল, বেগমনগলাও পড়াইতে দিল । বেলা অত্যন্ত পড়িলে অপ বাড়ি রওনা হইল ! আহার শেষ করিয়া লোকটা তখন তাহার বেচিক ও তাঁর ধনক লইয়া রওনা হইয়াছে। এ রকম মানষে সে তো কখনো দেখে নাই। বাঃ-যেদিকে দই চোখ যায় সেদিকে যাওয়া-পথে পথে তাঁর ধনক দিয়া শিকার করা বনের লতাপাত কুড়াইয়া গাছতলায় দিনের শেষে বেগােন পড়াইয়া খাওয়া ! গোটা আন্স্টেক বড় বড় বেগােন সামান্য একটু ননের ছিটা দিয়া গ্রাসের পর গ্রাস তুলিয়া কি করিয়াই নিমেষের মধ্যে সাবাড় করিয়া ফেলিলা ! • • • মাস কয়েক কাটিয়া গেল। সকালবেলা স্কুলের ভাত চাইতে গিয়া অপ দেখিল রান্না চড়ানো হয় নাই। সর্বজয়া বলিল, আজ যে কুলাইচণ্ডী পজো। -আজি স্কুলে যাবি কি ক’রে ?--- ‘ওরা বলে গিয়েচে ওদের পজোটা সেরে দেওয়ার জন্যে-পজোবারে কি আর স্কুলে যেতে পারবি ? বন্ড দেরি হয়ে যাবে। -হ্যা, তাই বৈকি ? আমি পজো করতে গিয়ে স্কুল কামাই করি আর কি ? আমি ওসব পারবো না, প্যাজোটুজো আমি আর করবো কি করে, রোজই তো পড়জো লেগে থাকবে। আর আমি বঝি রোজ রোজ-তুমি ভাত নিয়ে এস, আমি ওসব শুনছি। — ar -লক্ষী বাবাঁ আমার । আচ্ছা, আজবের দিনটা পড়জোটা সেরে নে। ওরা বলে গিয়েচে ওপাড়াসদ্ধ পজো হবে । চাল পাওয়া যাবে এক ধামার কম নয়, মানিক আমার, কথা শোনো, শািনতে হয় । অপর কোন মতেই কথা শানিল না। অবশেষে না খাইয়াই স্কুলে চালায়