পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

urns RSS দেৱকিসপিত, এটুকু শেষ নয়, এখানে আরম্ভও নয়।--তাহাকে ধরা যায় না। অথচ এই সব নীরব জীবনমাহতে অনন্ত দিগন্তের দিকে বিস্তৃত তাহার রহস্যময় প্রসার মনে মনে বেশ অনভব করা যায় । এই এক বৎসরের মেধ্য মাঝে মাঝে সে তাহা অন্যভােব করিয়াছেও-এই অদশ্য জগৎটার মোহািপশ মাঝে মাঝে বৈশাখী শালমঞ্জরীর উন্মাদ সবাসে, সঙ্খ্যা-খােসর অনতিপল্ট গিরিমালার সীমারেখায়, নেকড়ে বাঘের ডাকে ভরাজ্যোৎস্নায়াত শত্র জনহীন আরণ্যভূমির গাম্ভীযে, অগণিত তারাখচিত নিঃসীম শ্যান্যের ছবিতে । বৈকালে ঘোড়াটি বধিয়া যখনই বক্রতোয়ার ধারে বসিয়াছে, যখনই অপণার মখ মনে পড়িয়াছে, কতকাল ভুলিয়া যাওয়া দিদির মখখানা মনে পড়িয়ছে, একদিন শৈশব-মধ্যাহে মায়ের-মাখোশোনা মহাভারতের দিনগলার কথা মনে পড়িয়াছে’-তখনই সঙ্গে সঙ্গে তাহার। ইহাও মনে হইয়াছে যে, মে-জীবন যে-জগৎকে আমরা প্রতিদিনের কাজকমে হাটে-ঘাটে হাতের কাছে পাইতেছি জীবন তাহা নয়, এই কমব্যস্ত অগভীর একঘেয়ে জীবনের পিছনে একটি সকেদর পরিপািণ, আনন্দভরা সৌম্য জীবন ল্যুকানো আছে-সে এক শাগবত রহস্যভরা গহন গভীর জীবন-মন্দাকিনী, যাহার গতি কলপ হইতে কলপান্তরে ; দঃখকে তাহা করিয়াছে অমতত্বের পাথেয়, অশ্লকে করিয়াছে অনন্ত জীবনের আজ তাহার বসিয়া বসিয়া মনে হয়, শীলেদের বাড়ি চাকুরি তাহার দন্টিতে আরও শক্তি দিয়াছিল, অন্ধকার অফিস ঘরে একটুখানি জায়গায় দশটা হইতে সাতটা পর্যন্ত আবদ্ধ থাকিয়া একটুখানি খোলা জায়গার জন্য সে কি তাঁৱ লোলপতা, BBBBDYBB SDDD DBBBDB BBBD DDu DB BDD SDBDuu DDD BDSDD পিছনকার অ্যাকাশের দিকে তষিত চোখে চাহিয়া থাকার সে কি হ্যাংলামি । কিন্তু সেই বন্ধ জীবনই পিপাসাকে আরও বাড়াইয়া দিয়াছিল, শক্তির অপচয় হইতে দেয়। নেই, ধরিয়া বধিয়া সংহত করিয়া রাখিয়াছিল। আজ মনে হয়। চাঁপদানীর হেড মাস্টার যতীশবাবও তাহার বন্ধ-জীবনের পরম বন্ধ -সেই নিম্পাপ দরিদ্র ঘরের উৎপীড়িতা মেয়ে পটেশবরীও । ভগবান তাহাকে নিমিত্তস্বরপ করিয়াছিলেন। --তাহারা সকলে মিলিয়া চাঁপদানীর সেই কুলী-বস্তির জীবন হইতে তাহাকে জোর করিয়া দরে করিয়া না দিলে আজও সে সেখানেই থাকিয়া যাইত । এমন সব অপরান্ত্রে সেখানে বিশ, স্যাকরার দোকানের সান্ধ্য আড্ডায় মহা খাঁশিতে আজও दमिक्षा उान tशक्ऊि । sM. একথাও প্রায়ই মনে হয়, জীবনকে খািব কম মানষেই চেনে । জন্মগত সংস্কারের চোখে সবাই জীবনকে বঝিবার চেষ্টা করে, দেখিবার চেষ্টা করে, দেখাও হয় না, বোঝাও হয় না । তা ছাড়া সে চেস্টাই বা ক’জন করে ?• • • অমরুকণ্টক তখনও কিছু দরে । অপর বলিল, রামচরিত, কিছু শকনো ডাল আর শালপাত কুড়িয়ে আনি, চা করি। রামচরিতের ঘোর আপত্তি তাহাতে। সে বলিল, হােজর এসব বনে বড় ভােলাকের ভয় । অন্ধকার হবার আগে অমরকশািটকের ডাকবাংলোয় যেতে হবে। অপর বলিল, তাড়াতাড়ি চা হয়ে যাবে, যাও না তুমি । পরে সে কড় লোটােটায় শোণের জল জানিয়া তিন টুকরা পাথরের উপর চাপাইরা ཀག་