পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS w মত রহস্যমন্বপ্নভরা যে অজানা অকুলজীবন-মহাসমািদ্র!--পলকে সারাদেহ শিহরিয়া উঠে। মাকে এখনও সব কথা বলা হয় নাই। মায়ের মনের বেদনার রঙে ফেন মাঠ, ঘাট, অস্তদিগন্থের মেঘমালা রাঙানো ! গভীর ছায়াভােরা সন্ধ্যা মায়ের দঃখভরা মনটার মত ঘালি-ঘলি অন্ধকার । দালানের পাশের ঘরে মিষ্টি মিটি প্রদীপ জীবলিতেছে। সবজিয়া রান্নাঘরের দাওয়ায় ছেলেকে ওধেলার কুলাইচণ্ডী-ব্রতের চিাড়ে-মািড়কির ফলার খাইতে দিল । নিকটে বসিয়া চাঁপাকলারখাসা ছাড়াইয়া দিতে দিতে বলিল, ওরা কত দঃখ, করলে আজ। সরকার-বাড়ি থেকে বলে গেল তুই পজো করবি-তারা খাজতে এলে আমি বললাম, সে সঞ্চুকুলে চলে গিয়েছে। তখন তারা আবার ভৈরব চক্কত্তিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই অও বেলায়-তুই যদি ষেতিস -আজি না গিয়ে ভাল করিচি মা । আজ হেডমাস্টার বলেচে। আমি এগজামিনে সাকলারশিপ পেইচি। বড় স্কুলে পড়লে মাসে পাঁচ টাকা ক’রে পাবো। স্কুলে যেতেই হেডমাস্টার ডেকে বললে সবজিয়ার মািখ বিবণ হইয়া গেল । ছেলের মাখের দিকে চাহিয়া বলিল, কোথায় পড়তে হবে ? —মহকুমার বড় স্কুলে । --তা তুই কি বললি ? -আমি কিছু বলি নি । পাঁচটা করে টাকা মাসে মাসে দেবে, যদি না পড়ি তবে তো আর দেবে না। ওতে মাইনেও ফ্রি করে নেবে। আর ওই পাঁচ টাকাতে বোডিং-এ থাকবার খরচও কুলিয়ে যাবে। সবজিয়া আর কোন কথা বলিল না । কি কথা সে বলিবে ? যান্তি এতই অকাট্য যে, তাহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিবার কিছই নাই। ছেলে স্কলারশিপ পাইয়াছে, শহরে পড়িতে যাইবে, ইহাতে মা-বাপের ছেলেকে বাধা দিয়া বাড়ি বসাইয়া রাখিবার পদ্ধতি কোথায় চালিত আছে ? এযেন তাহার বিরদ্ধে কোন দণ্ডী তার নিমািম অকাট্য দািড় উঠাইয়াছে, তাহার দর্বল হাতের সাধ্য নাই যে ঠেকাইয়া রাখে। ছেলেও ঐদিকে ঝুকিয়াছে । আজকার দিনটিই যেন কার মািখ দেখিয়া উঠিয়াছিল সে। ভবিষ্যতের সহস্ৰ সখিসন্ধিবপ্ন কুয়াসার মত অনন্তে বিলীন হইয়া যাইতেছে কেন আজকার দিনটিতে বিশেষ করিয়া ? মাসখানেক পরে বত্তি পাওয়ার খবর কাগজে পাওয়া গেল । যাইবার পর্বদিন বৈকালে সবজিয়া ব্যস্তভাবে ছেলের জিনিসপত্র গছাইয়া দিতে লাগিল । ག། BDBDDLD BBD BBDBDL DB BBD DDS DDBBD BDDS ছেলে-মানষে ছেলেষ্ট কত জিনিসের দরকার হইবে, কে থাকিবে তখন সেখানে যে মখে মখে সব অভাব যোগাইয়া ফিরিবে, সব জিনিস হাতে লইয়া বসিয়া থাকিবে ? খাঁটিনাটি- একখানা কাঁথা পাতিবার, একখানি গায়ের-একটি জল খাইবার গ্লাস, ঘরের তৈরী এক শিশি সরের ঘি, এক পটুলি নারিকেল নাড়া ; “অপফলকাটা একটা মাঝারি জামবাটিতে দধি খাইতে ভালবাসে-সেই বাটিটা,