পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

varies 8&°ቅ ঠাস করিয়া,এক চড় গালে। ; ফয়সা গাল, তখনই দাড়িমের মত রাঙা হইয়া ওঠে, কান পর্যন্ত রাঙা হইয়া:যায়। কাজলের ভয় হয় না, একটা নির্ম্মফল অভিমান ? হয়-বাঃ রে, বানানটা তো সে জানে, কিন্তু মাথে যে আটকাই যায় তা তার দোষ কিসের ? কিন্তু মাখে অত কথা বলিয়া বঝাইয়া প্রতিবাদ বাঁ আত্মপক্ষ সমর্থন করিবার মত এতটা জ্ঞান তাহার হয় নাই-সবটা মিলিঙ্কা অভিমানের মাল্লাটাই বাড়াইয়া তোলে। কিন্তু অভিমানটা কাহার উপর সে নিজেও ভাল বোঝে না । এই সময়ে কাজলের জীবনে একটা অদভুত ঘটনা ঘটিল। সীতানাথ পণ্ডিতমহাশয় একটু-আধটু জ্যোতিষের চর্চা করতেন। কাজলের পড়িবার সময় তাহার দাদামশায়ের সঙ্গে সীতানাথ পণ্ডিত”সে সম্বন্ধে আলোচনা করিতেন-পাঁজি দেখিয়া ঠিকুজি তৈয়ারী, জন্মের লক্ষন ও যোগ গণনা, আয়কাল নির্ণয় ইত্যাদি । আজ বছরখানেক ধরিয়া কাজল প্রায়ই এসব শনিয়া আসিতেছে -যদিও সেখানে সে কোন কথা বলে না । কাতিক মাসের শেষ, শীত তখনও ভাল পড়ে নাই। বাড়ির চারিপাশে অনেক খেজারবাগান, শিউলিরা কাতিকের শেষে গাছ কাটিয়াছে। শীতের ঠান্ডা সান্ধ্য বাতাসে টাটকা খেজার-রাসের গন্ধ মাখানো থাকে । কাজলদের পাড়ার ব্রহ্মঠাকরান এই সময় কি রোগে পড়িলেন। ব্রহ্মঠাঞ্চৱনের বয়স কত তা নিণয় করা কঠিন-মাড়ি ভাজিয়া বিক্রয় করিতেন, পতি-পত্র কেহই ছিল না- কাজল অনেকবার মাড়ি কিনিতে গিয়াছে তাঁহার বাড়ি । অত্যন্ত খিটখিটে মেজাজের লোক, বিশেষ করিয়া ছেলে-পলেদের দ'চক্ষ, পাড়িয়া দেখিতে পারিতেন না-দর দীর করিতেন, উঠানে পা দিলে পাছে গাছটা ভাঙে, উঠানটো gEBD BBBDS SS DB DDDB DBD S DBDBBB DDDB BDBDDD DBBB বলিতেন-একটা যেন মগ-মগ একটা-বাড়ি যা বাপ-- কশ্চি-টাচার খোঁচা মেরে - বসবি-যা বাপ এখান থেকে। ঝালের চারাগালো মাড়ায় নৌ-- সেদিন দাপরের পর তাহার মামাতো-বোন অর বলিল-বেক্ষ-ঠাকুমা মর-মর হয়েছে, সবাই দেখতে যাচ্ছে-যাবি কাজল ? ২। ছোট্ট একতলা বাড়ির ঘর, পাড়ার অনেকে দেখিতে আসিয়াছো-মেজেতে “ বিছানা পাতা, কাজল ও অর দোরের কাছে দাঁড়াইয়া উকি মারিঃা দেখিল । ব্রহ্মঠাকরানকে আর চেনা যায় না, মাখের চেহারা যেমন শণি তেমনি ভয়ঙ্কর, . চক্ষ কোটরগত, তাহার ছোট-মামা কাছে বসিয়া আছে, হার কবিরাজ দাওয়ায় বসিয়া লোকজনের সঙ্গে কি কথা বলিতেছে । 8 বৈকালে দ-তিনবার শোনা গেল ব্রহ্মঠাকরনের রাত্রি কাটে কিংবা সন্দেহ । কাজল কিছ বিস্মিত হইল। এমন দোদণ্ডপ্রতাপ ব্রহ্মঠাকরান, যাঁহাকে গামছা, পড়িয়া উঠানে গোবরূজল ছিটাইতে দেখিয়া সে তখনই ভাগিত- তাহার দাদামশায়ের মত লোক পর্যন্ত যাঁহাকে মানিয়া চলে-“তোহার এ কি দশা হইয়াছে আজ !• • •এত অসহায়, এত দবােল তাঁহাকে ফিসে করিয়া ফেলিল ?• • • ব্রহ্মঠাকরান সন্ধ্যার আগে মারা গেলেন । কাজলের মনে হইল পাড়াময় একটা নিস্তািধতা-কেমন একটা অবোধ্য বিভীষিকার ছায়া যেন সারা পাড়াকে