পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিপিয়াজিত *d: ছোট একটা বোতলে মাখিবার চৈ-মিশানো নারিকেল তৈল, আরও কত কি । অপাের মাথার বালিশের পরানো ওয়াড় বদলাইয়া নািতন ওয়াড় পরাইয়া দিল । দধি-যাত্রায় আবশ্যকীয় দই একটা ছোট পাথরবাটিতে পাত্মিা রাখিল । ছেলেকে কি করিয়া বিদেশে চলিতে হইবে সে বিষয়ে সহস্র উপদেশ দিয়াও তাহার মনে তৃপ্তি হইতেস্থূিল না । ভাবিয়া দেখিয়া যেটি বাদ দিয়াছে মনে হয় সেটি তখনি আবার ডাকিয়া বলিয়া দিতেছিল । —যদি কেউ মারে টারে, কত দক্ষুন্টু ছেলে তো আচে, অমনি মাস্টারকে বলে দিবি-বাকলি ? রাত্তিরে ঘামিয়ে পড়িসা নে যেন ভক্ত খাবার আগে ! এ তো বাড়ি নয় যে কেউ তোকে ওঠাবে-খেয়ে তবে ঘামবি-নিয়তো তাদের বলবি, যা হয়েচে তাই দিয়ে ভােত দাও-বাকলি তো ? সন্ধ্যার পর সে কুণ্ডদের বাড়ি মনসার ভাসান শনিতে গেল। অধিকারী নিজে বেহালা সাজিয়া পায়ে ঘঙের বধিয়া নাচে-বেশি গানের গলা । খানিকটা শনিয়া তাহার ভাল লাগিল না। শািন্ধ ছড়া কাটা ও নাচ সে পছন্দ করে না,- যন্ধে নাই, তলোয়ার-খেলা নাই, যেন পানসে-পানসে । তব ও আজিকার রাতটি বড় ভাল লাগিল তাহার । এই মনসা ভাসানোর আসর, এই নিতেন জায়গা, এই অচেনা গ্রাম্য বালকের দল, ফিরিবার পথে তাহদের পাড়ার বাঁকে প্রস্ফটিত হেনা ফলের গন্ধ-ভরা নৈশ বাতাস জোনাকিজািৰলা । অন্ধকারে কেমন মায়াময় মনে হয় । • • • রাস্ত্রে সে আরও দ-একটা জিনিস সঙ্গে লইল । বাবার হাতের লেখা একখানা গানের খাতা, বাবার উদ্ভট শ্লোকের খাতাখানা বড় পেটরাটা ইঠাইতে বাহির করিয়া রাখিল-বিড় বড় গোটা গোটা ছাঁদের হাতের লেখাটা বাবার কথা মনে আনিয়া দেয়। গানগালির সঙ্গে বাবার গলার সাের এমনভাবে জড়াইয়া আছে যে, সেগলি পড়িয়া গেলেই বাবার সাের কানো বাজে । নিশিচন্দপরের কত ক্রীড়াকান্ত শাস্ত সন্ধ্যা, মেঘমোদর বিষমধ্যাহ্ন, কত জ্যোৎস্না-ভরা রহস্যময়ী রাত্রি বিদেশ-বিভুইএর সেই দঃখ-মাখানো দিনগলির সঙ্গে এই গানের সরে যেন জড়াইয়া আছেসেই দশাশবমেধ ঘাটের রাণা, কাশীর পরিচিত সেই বাঙালি কথকঠাকুর । সবজিয়ার মনে একটা ক্ষীণ অংশ ছিল যে, হয়ত ছেলে শেষ পর্যন্থ বিদেশে যাইবার মত করিবে না। কিন্তু তাহার অপ, যে পিছনের দিকে ফিরিয়াও চাহিতেছে না । সে যে এত খাটিয়া, একে-ওকে বলিয়া কহিয়া তাহার সাধ্যমত যতটা কুলায়, ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনের অবলম্পকন একটা খাড়া করিয়া দিয়াছিলছেলে তাহার প্যায়ে দলিয়া যাইতেছে- কি জানি কিসের টানো ! কোথায় ? তাহার স্নেহদবলে দটি তাহাকে দেখিতে দিতেছিল না যে, ছেলের ডাক আসিয়াছে বাহিরের জগৎ হইতে । সে জগৎটা তোহার দাবী gछा छाएggद ना --সাধ্য কি সবজিয়ার যে চিরকাল ছেলেকে অচিলে। লকেইটা রাখে ? যাত্রার পাবে মাঙ্গািলক অনন্ঠানের দধির ফোঁটা অপর কপালে পরাইয়া দিতে দিতে বলিল-বাড়ি আবার শীগগির শীগগির আসবি কিন্তু, তোদের ইতুপ জোর ছটি দেবে তো ?