পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rao অপরাজিত বাহির হইয়া জবাপাতার তিল-পিটুলির ঠোঙা-হাতে খাইতে খাইতে পাকুরপাড় পর্যন্ত গিয়াছে - বিশেৰশর্যর আসিয়া ঠোঙাটি ‘কাড়িয়া লইয়া ছাড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বলিল-আল্পী পাজি ছেলে তো ? আবার ঐ তেলে ভাজা খাবারগালো ·乙烈T研尔领守T9邵T? BDDBYY DBDBDYuDD ESBDSgu DL DDSLBBBD বিশেৰশর্যর মহারী হঠাৎ আসিয়া তাহার কান ধরিয়া একটা ঝাঁকুনি দিয়া বলিল-আমার কি, বটে ?--রাগে অপমানে কাজলের মািখ রাঙা হইয়া গেল । ইহাদয় হাতে মার খাওয়ার অভিজ্ঞতা তাহার এই প্রথম । সে ছেলেমানষি সরে চিৎকার করিয়া বলিল-মািখপড়ি, হতচ্ছাড়া তু-তুমি মারলে কেন ? ? বিশেকশবির তাহার গালে জোরে এক চড় বসাইয়া দিয়া বলিল-আমি কেন, এসো তো কাতার কাছে একবার-এসো । কাজল পাগলের মত যা-তা বলিয়া গালি দিতে লাগিল। চাড়ের চোটে তখন তাহার কান মাথা ঝাঁ-ঝা করিতেছে, এবং বোধ হয় এ অপমানের কোনও প্রতিকার এখানকার কাহারও নিকট হইতে হইবার আশা নাই, মাহত মধ্যে ঠাওরাইয়া ববিয়া চিৎকার করিয়া বলিল-আমার বা-বাবা আসক, বলে দেব, দেখো८° SumitaBot (আলাপ) ০৭:৪৮, ২৬ জুলাই ২০১৭ (ইউটিসি) •”፦ বিশোবশবর হাসিয়া বলিল-আচ্ছা যাও, তোমার বাবার ভয়ে আমি একেবারে তের মধ্যে যাব। আর কি ? আজি পাঁচ বছরের মধ্যে খোঁজ নিলে না, ভারী তো- । হয়ত একথা বলতে বিবেক্ষবর সাহস করিত না, যদি সে না জনিত, তাঁহার এ জামাইটির প্রতি কতার মনোভাব কিরােপ । কাজল রাগের মাথায় ও কতকটা পাছে বিশেবাণীবর দাদামশায়ের কাছে ধরিয়া লাইয়া যায় সেই ভয়ে, পাকুরের দক্ষিণ-পাড়ের নারিকেল বাগানের দিকে ছটিয়া ঘাইতে যাইতে বলতে লাগিল-দেখো না, দেখো তুমি, বাবা আসকে না-পরে পিছন দিকে চাহিয়া খািব কড়া কথা শানানো হইতেছে, এমন সরে বলিল-তোমার পেটে খি-খিচুড়ি-আছে, খি-খিচুড়ি খাবে-খিচুড়ি ? w নদীর বাঁধাঘাটে সেদিন সমাধ্যাবেলা বসিয়া বসিয়া সে অনেকক্ষণ দিদিমার কথা ভাবিল। দিদিমা থাকিলে বিশেষণবের মহারী গায়ে হাত তুলিতে পারিত ? সে জবাপাতার বেগনি খায় তো ওল্প কি ? ঐ একটা নক্ষত্র খসিয়া পড়ল। দিদিমা বলিত নক্ষত্র খসিয়া পড়িলে সেই সময় পথিবীতে কেউ না কেউ জঙ্গমায় । মরিয়া কি নক্ষত্র হয় ? সে যদি মারা যায়, হয়তো অমনি আকাশের গায়ে নক্ষত্র হইঞ্জা ফুটিয়া থাকিবে । ک আরও মাস কয়েক পরে ভাদ্রমাসের শেষের দিকে । দাদামশায়ের বৈকালিক মিছরির পান খাওয়ার শেবত পাথরের গেলাসটা তাহার বড় মামীীমা মাঞ্জিয়া ধইয়া উপরের ঘরের বাসনের জলচৌবিতে রাখিতে তাহার হাতে দিল। সিড়িতে উঠিবার সময় কেমন করিয়া গেলাস হাত হইতে পড়িয়া চুরমার হইয়া গোল ভাঙ্গিয়া। কাজলের মখ ভয়ে বিবর্ণ হইয়া গেল, তাহার ক্ষদ্র হৃৎপিন্ডের গতি