পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஜரீர RA - অপ বাহিক্সে চলিয়া আসিল-সে অন্যভব করিতেছিল, লীলার মত সে কাহাকেও ভালোবাসে নু-লুই গভীর অনুকম্পামিশ্রিত ভান্দুসা, যা মানষেকে সব ভুলইয়া দেয়, আত্মবিসর্জনে প্রণোদিত করে । লীলাকে যে করিয়া হউক সে সখী করবে। লীলাকে এতটুকু কন্টে পড়িতে দিবে না, নিজেকে ছোট ভাবিতে দিবে না। যাহার ইচ্ছা লীলাকে ছাড়ক, সে লীলাকে ছাড়িতে পরিবে না। সে লীলাকে কোথাও লইয়া যাইবেই-এ। অবস্থায় কলিকাতায় থাকিলে লীলা বাঁচবে না। কিবা একদিকে-লীলার মাখের অনরোধ আর একদিকে । সারাপথ ভাবিতে ভাবিতে ফিরিল । দিন তিনেক পরে । বেলা আটটা। অপ, সকালে সমান সারিয়া কাজলকে সঙ্গে করিয়া বেড়াইতে বাহির হইবে-এমন সময়ে মিঃ লাহিড়ীর ছোট নাতি অরণ ঘরে ঢুকিল । এককোণে ডাকিয়া লইয়া চাপি চাপি উত্তেজিত সরে বলিল-শিগগির আসন, দিদি কাল রাত্রে বিষ খেয়েছে । विश्व 1 नवनाश 1-लौना विक्ष थाईलाह ! কাজলকে কি করা যায় ?--খোকা তুই-বরং -ঘরে থাক একা। আমি একটা কাজে যাচ্ছি। দেরি হবে ফিরতে । কিন্তু কাজলের চোখে ধলা দেওয়া অতি সহজ নয়। কেন বাবা ? কি কাজ ? ? কোথায় ? কত দেরি হইতে পারে ?” “কোনোমতে ভুলাইয়া তাহাকে রাখিয়া দজনে ট্যাক্সি ধরিয়া লীলার বাসায় আসিল । আরও দখানা মোটর দাঁড়াইয়া আছে । ঢুকিতেই লীলাদের বাড়ির ডাক্তার বন্ধ কেদারবাবার সঙ্গে দেখা। অরুণ ব্যস্তসমাপ্ত ভাবে জিজ্ঞাসা করিল- কি অবস্থা এখন ? কেদারবাব বললেন-অবস্থা তেমনি। আর একটা ইনজেকশ্যন করেছি। হিলাকক সাহেব এলে যে বৰঝতে পারি। অপর প্রশেনর উত্তরে বলিলেন-বডড স্যাড ব্যাপার-বিডড স্যােড। জিনিসটা ? মারফিয়া। রাত্রে কখন খেয়েছে, তা তো বোঝা যায় নি, আজ সকালে তাও বেলা হলে তবে টের পাওয়া গেল । কর্ণেল হিলকককে আনতে লোক গিয়েছে-তিনি না। আসা পর্যন্ত- , অরণের সঙ্গে সঙ্গে উপরের সেই ঘরটাতে গেল-মাত্র দিন তিনেক আগে যেটাতে বসিয়া সে লীলাকে গান শনাইয়া গিয়াছে। প্রথমটা কিন্তু সে ঘরে ঢুকিতে পারিল না, তাহার হাত কাঁপতেছিল, পা কপিতেছিল। ঘরটা অধিকার, জানালীর পদাগলো বন্ধ, ঘরে বেশী লোক নাই, কিন্তু বারান্দাতে আট-দশজন লোক। সবাই পদ্মপকূরের বাড়ির -সবাই চাপি চাপি কথা কহিতেছে, পা টিপিয়া টিপিয়া হাঁটিতেছে। কিছ বিশেষ অস্বাভাবিক ব্যাপার ঘাঁটিয়াছে এখানে, এমন বলিয়া কিন্তু অপর মনে হইল না। অথচ একজন-যে পথিবীর সখিকে এত ভালবাসিত, আকাঙ্ক্ষা করিত, আশা করিত-উপেক্ষায় মািখ । বাঁকাইয়া পথিবী হইতে ধীরে ধীরে বিদায় লইতেছে।