পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wrestors ES কাজ-খবরের কাগজখানা পড়বারও সময় পাইনে, কিন্তু এত টাকা রোজগার করি, তব মনে হয়, ছাত্রজীবনই ছিল ভাল. তখন কোন ीिनान gथक বেশী আনন্দ পেতুম-এখন মনে হয়, আই হ্যাভ লস্ট দি সস অফ লাইফ অপর নিজের কথা ভাবিয়া দেখে। কৈ, এত বিরুদ্ধে ঘটনার ভিতর দিয়াও LDD BBB BBBDYDD Bu BB DD SSS S Du uB DD DDSSD DD দিনে দিনে এমন অদ্ভুত ধরণের উচ্ছসিত প্রাচুষে বাড়িয়া চলিয়াছে ? কেন পথিবীটা, পথিবী নয়-সারা বিশবটা, সারা নাক্ষত্রিক বিভবটা এক অপরূপ রঙে তাহার কাছে রঙীন ? আর দিনে দিনে এ কি গহন গভীর রূকুস্য তাহাকে মািখ করিয়া প্রতি বিষয়ে অতি তীব্রভাবে সচেতন করিয়া দিতেছে ?• • • সে দেখিতে পায় তার ইতিহাস, তার এই মনের আনন্দের প্রগতির ইতিহাস, তার ক্রমবর্ধমান চেতনার ইতিহাস । এই জগতের পিছনে আর একটা যেন জগৎ আছে। এই দশ্যমান আকাশ, পাখির ডাক, এই সমস্ত সংসারজীবন-যাত্রা-তারই ইঙ্গিত আনে মাত্র-দর দিগন্তের বহদার ওপারে কোথায় যেন সে জগৎটা-পিয়াজের একটা খোসার মধ্যে যেমন আর একটা খোসা তার মধ্যে আর একটা খোসা, সেটাও তেমনি এই আকাশ, বাতাস, সংসারের আবরণে কোথায় যেন ঢাকা আছে, কোন জীবন-পারের মনের পারের দেশে । স্থির সন্ধ্যায় নিজনে একা কোথাও বসিয়া ভাবিলেই সেই জগৎটা একটু একটু নজরে আসে। সেই জগৎটার সঙ্গে যোগ-সেতু প্রথম স্থাপিত হয় তার বাল্যে-দিদি যখন মারা যায়। তারপর অনিল-মা-অপণা-সর্বশেষে লীলা। দস্তর অশ্রীর পারাবার সারাজীবন ধরিয়া পাড়ি দিয়া আসিয়া আজ যেন বহা দরে সে-দেশের তালীবনরেখা অসম্পলেট নজরে আসে । আজ গোলদীঘির বেgিখানায় বসিয়া তাই সে ভাবিয়া দেখিল, অনেক দিন আগে তার বন্ধ অনিল যে-কথা বলিয়াছিল, এ জেনারেশনের হাত হইতে কাজের ভার লওয়া-আর সবাই তা লইয়াছে, তার সকল সহপাঠীই এখন জীবনে সপ্রতিষ্ঠিত, দিকে দিকে জীবনের সকল কমক্ষেত্রে তারা নামিয়া পড়িয়ছে, কেবল ভবঘরে হইয়াছে সে ও প্রণব । কিন্তু সত্য কথা সে বলিবে ?--মন তার কি বলে ? তার মনে হয় সে যাহা পাইয়াছে জীবনে, তাহাতেই তার জীবন হইয়াছে সার্থক । সে চায় না। অর্থ, চায় না-কি সে চায় ? সেটাও তো খাব পািপষ্ট হইয়া উঠে না। সে কি অপরােপ জীবন-পালক এক একদিন দাপরের রোদে ছাদটাতে সে অনভব করে, তাকে অভিভূত, উত্তেজিত করিয়া তোলে, আকাশের দিকে উৎসক চোখে চাহিয়া থাকে, যেন সে দৈববাণীর প্রত্যাশা করিতেছে। • • • কাজল কি একটা বই আগ্রহের সঙ্গে পড়িতেছিল-আপ ঘরে ঢুকিতেই চোখ তুলিয়া ব্যগ্র উৎসাহের সরে উপেজলম্যুখে বলিল-ওঃ, কি চমৎকার গল্পটা বাবা । -শোনো না বাবা-এখানে বসো- । পরে সে আরও কি সব বলিয়া যাইতে