পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত । চতুৰিংশ পরিচ্ছেদ ট্রেনে উঠিয়াও যেন অপর বিশবাসী হইতেছিল না, সে সত্যই নিশিচন্দপরের মাটিতে আবার পা দিতে পরিবে-নিশ্চিন্দিপাের, সে তো শৈশবের সর্বপ্নলোক । সে তো মাছিয়া গিয়াছে, মিলাইয়া গিয়াছে, সে শােধ একটা অনতিপস্ট সংখ্যািমতি भा, काश्न्3 छिल ना,मारे3 । মাঝেরাপাড়া সেন্টশনে ট্রেন আসিল বেলা একটার সময় । খোকা লাফ দিয়া নামিল, কারণ প্লাটফর্ম খােব নিচু। অনেক পরিবতন হইয়াছে স্টেশনটার, প্লাটফমের মাঝখানে জাহাজের মাসতুলের মত উচু যে সিগন্যালটা ছেলেবেলায় তাহাকে তাক লােগাইয়া দিয়াছিল সেটা আর এখন নাই। স্টেশনের বাইরে পথের উপর একটা বড় জাম গাছ, অপর মনে আছে, এটা আগে ছিল না। ওই সেই বড় মাদার গাছটা, যেটার তলায় অনেককাল আগে তাহদের এদেশ ছাড়িবার দিনটাতে মা খিচুড়ি রাধিয়াছিলেন । গাছের তলায় দখানা মোটর-বাস যাত্রীর প্রত্যাশায় দাঁড়াইয়া, অপরা থাকিতে থাকিতে দাখানা পরনো ফোর্ড ট্যাক্সিও আসিল্লা জটিল। আঞ্জকাল নাকি নবাবগঞ্জ পর্যন্ত বাস ও ট্যাক্সি হইয়াছে, জিজ্ঞাসা কর্মীয়া জানিল-জিনিসটা অপর কেমন যেন ভাল লাগিল না । কাজল নবীন যাগের মানষি, সাগ্রহে বলিল-মোটর কাটো করে যাব বাবা ? অপ, ছেলেকে জিনিসপত্রসমেত ট্যাক্সিতে উঠাইয়া দিল, বটের ঝুয়ি দোলানো, স্নিগ্ধ ছায়ািভরা সেই প্রাচীন দিনের পথটা দিয়া সে নিজে মোটরে চড়িয়া যাইতে পরিবে না। কখনই । এ দেশের সঙ্গে পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ কি খাপ খায় ? চৈ মাসের শেষ । বাংলায় সত্যিকারী বসন্তু এই সময়েই নামে । পথ চলতে চলিতে পথেন্ন ধারে ফলেভরা ঘেটুবনের সৌন্দর্যে সে মগধ হইয়া গেল । এই কম্পমান চিত্রদিপরের রৌদ্রের সঙ্গে, আকন্দ ফুলের গন্ধের সঙ্গে শৈশব যেন মিশানো আছে—পশ্চিম বাংলার পল্লীতে এ কমনীয় বসন্তের রূপে সে তো ভুলিয়াই ssssss এই সেই বোত্রাবতী ! এমন মধর বিপ্লভরা নামটি কোন নদীর মাছে পথিবীতে ? খেয়া পার হইয়া আবার সেই আষাঢ়ার বাজার। ভিডোল ও ডানলপ টায়ারের বিজ্ঞাপন-ওয়ালা পেট্রোলের দোকান নদীর উপরেই । বাজারেরও চেহারা অনেক বদল হইয়া গিয়াছে । তেইশ বছর আগে এত কোঠাবাড়ি ছিল না । আষাঢ়, হইতে হটিয়া যাওয়া সহজ, মাত্র দ্য মাইল, জিনিসপত্রের জন্য একটা মন্টে পাওয়া গেল, মোটরবাস ও ট্যাক্সির দরন ভাড়াটিয়া গরর গাড়ি আজকাল নাকি এদেশ হইতে উঠিয়া গিয়াছে। মটে বলিল-ধgেপলাশগাছির ওই কাঁচা রাস্তুটো দিয়ে যাবেন তো বাবা ? ধgেপলাশগাছি ?" "নামটাই তো কতকাল শোনে নাই, এতদিন মনেও ছিল না । উঃ, কতকাল পরে এই অতি সন্দর নামটা সে আবার শব্দুতেছে