পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Örvars e. Sa হীরামক্সার ঘাটা, বরানসী শাড়ির রংচং-এর কাছে তার মায়ের সেই কাচের চুড়ি, आँथा किछाड्ने नन्न । কিন্তু তা বলিয়াইছামতীকে সে কি কখনো ভুলিবে ? দাপরে সে ঘরে থাকিতে পারে না । এই চৈত্রদপরের রোদের উষ্ণ নিঃশবাস কত পরিচিত গন্ধ বহিয়া আনে-শিকানো বাঁশের খোলার, ফটেন্ত ঘেটুধনের, ঝরা পাতার, সোঁদা সোঁদা রোদপোড়া মাটির, নিম ফলের, আরও কত কি কত কি,-বাল্যে এই সব দাপরে তাকে ও তাহার দিদিকে পাগল করিয়া দিয়া টাে টাে করিয়া শােধ মাঠে, বাগানে, বাঁশতলায়, নদীর ধারে ঘরাইয়া লইয়া বেড়াইতআজও সেই রকমই পাগল করিয়া দিল । গ্রামসম্পািধ সবাই দাপরে ঘামায়-সে একা বাহির হয়। — উদভ্রান্তের মত মাঠের ঘেটুফলে ভরা উচু ডাঙায়, পথে পথে নিঝুম দ্যপারে বেড়াইয়া ফেরো-কিন্তু তব মনে হয়, বাল্যের সমিতিতে যতটা আনন্দ পাইতেছে, বৰ্তমানের আসল আনন্দ সে ধরণের নয়।--আনন্দ আছে, কিন্তু তাহার প্রকৃতি বদলাইয়া গিয়াছে । তখনকার দিনে দেবদেবীরা নিশিচন্দিপারে বাঁশবনের ছায়ায় এই সব দাপরে নামিয়া আসিতেন । এক একদিন সে নদীর ধারের সগন্ধ তৃণভূমিতে চুপ করিয়া হাতে মাথা রাখিয়া শইয়া থাকে ঘন্টার পর ঘণ্টা, কিছই করে না, রৌদ্রভরা নীল আকাশটার দিকে চাহিয়া শােধ চুপ করিয়া থাকে-কিছ ভাবেও না” – “সবােজ ঘাসের মধ্যে মািখ ডুবাইয়া মনে মনে বলেওগো মাতৃভূমি, তুমি ছেলেবেলায় যে অমতদানে মানষ করেছিলে, সেই অমতে হ’ল আমার জীবন-পথের পাথেয়া-তোমার বনের ছায়ায় আমার সকল সর্বপ্ন জন্ম নিয়েছিল একদিন, তুমি আবার শক্তি দাও, হে শক্তিরাপিণী । দঃখ হয়। কলিকাতার ছাত্রটির জন্য । এদের বাপের বাড়ি বৌবাজারে, মামার বাড়ি পটুয়াটােলায়, পিসির বাড়ি বাগবাজারে-বাংলাদেশকে দেখিল না। কখনও । এরা কি মাধবপর গ্রামের উলখেড়ের মাঠের ওপারের আকাশে রং-ধরা দেখিল ? স্তবন্ধ শরৎ-দপরের ঘন বনানীর মধ্যে ঘাঘর ডাক শনিয়াছে ? বন-অপরাজিতা ফলের নীরব মহোৎসব। এদের শিশ-আত্মায় তার আনন্দের স্পর্শ দিয়াছে কোনও কালে ? ছোট মাটির ঘরের দাওয়ায় আসনপি’ড়ি হইয়া বসিয়া নারিকেল পত্রশাখায় জ্যোৎস্নার কপিন দেখে নাই কখনও-এরা অতি হতভাগ্য। রাণীর যত্নে আদরে সে মগধ হইয়া গেল । সন্তুদের বাড়ির সে-ই আজকাল কত্রেী, নিজের ছেলেমেয়ে হয় নাই, ভাইপোদের মানৱষ করে । অপরকে রানী বাড়িতে আনিয়া রাখিল-কাজলকে দ"দিনে এমন আপন করিয়া লইয়া ফেলিয়াছে যে, সে পিসিমা বলিতে অজ্ঞান । রানীর মনে মনে ধারণা, অপর শহরে থাকে যখন, তখন খাব চায়ের ভক্ত,-দটি বেলা ঠিক সময়ে চা দিবার জন্য তাহার প্রাণপণ চেশটা। চায়ের কোন সরঞ্জাম ছিল না, লকোইয়া নিজের পয়সায় সন্তুকে দিয়া নবাবগঞ্জের বাজার হইতে চায়ের ডিস, পেয়ালা আনাইয়া লইয়াছো-অপচা তেমন খায় না। কখনও, কিন্তু এখানে সে সে-কথা বলে না। ভাবে-যত্ন করচে Ra