পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত C ঘরোয়া ছোট্ট পাকুরের মত উপসাগরটির তীরে নারিকেল পত্র নিমিত ছোট ছোট কুটির —মধ্যে লৌহ প্রভরের পাহাড়ের সক্ষমগ্র নাসা, উভয়কে দ্বিধাবিভক্ত করিতেছে —রৌদ্রলোকপ্লাবিত সাগরবেলা। পথিক জীবনের যাত্রা আৰুর নতুন দেশের নতুন আকাশতলে শহর হইবার দিন ঘনাইয়া আসিতেছে ! পরাতন দিনের সঙ্গে যে সব জায়গার সােপক-আর একবার সে-সব দিকে ঘরিয়া ঘরিয়া বেড়াইল*** মায়ের মাতুত্যুর পাবে যে ছোট একতলা ঘরটাতে থাকিত অভয় নিয়োগী লেনের মধ্যে - সেটার পাশ দিয়াও গেল। বহকাল এইদিকে আসে নাই ! গলির মখে একটা গ্যাসপোস্টের কাছে সে চুপ করিয়া খুনিকক্ষণ দাঁড়াইয়া 颈冈一 একটি ছিপছিপে চেহারার উনিশ-কুড়ি বছরের পাড়াগাঁয়ের যািবক সামনের ফুটপাতে হাঁ কারিয়া দাঁড়াইয়া আছে -কিছ মািখচোরা, কিছ নিবোধ-বোধ হয় নতুন কলিকাতায় আসিয়াছে—বোেধু হয় পেট ভরিয়া খাইতে পায় নাইক্ষধাশীণ মাখ-আপ, ওকে চলে-ওর নাম অপবর্ণ রায় -তেরো বছর আগে ও এই গলিটার মধ্যে একতলা বাড়িটাতে থাকিত । এক মােঠা হোটেলের রাষা ভাত-ডালের জন্য হোটেলওয়ালার কত মািখ-নাড়া সহ্য করিত-মায়ের সঙ্গে দেখা করিবার প্রত্যাশায় পাঁচলের গায়ে দাগ কাটিয়া ছটির আর কতদিন বাকি হিসাব রাখিত । দাগগলি জামরাল গাছটার পাশে লোনাধরা পাঁচিলের গায়ে उभाअ९3 ३gज5ा रूमाgछ । সন্ধ্যার অন্ধকারে গ্যাস জলিয়া উঠার সঙ্গে সঙ্গে যাবকের ছবি মিলাইয়া si. . . বাসার নির্জন ছাদে একা আসিয়া বসিল । মনে কি অদ্ভুত ভাব ।--কি অদ্ভুত অমর্তুতি!-নবমীর জ্যোংরা উঠিয়াছে-কেমন সব কথা মনে উঠে --বিচিত্র সব কথা-বসিয়া বসিয়া ভাবে, এই রকম জ্যোৎস্না আজ উঠিয়াছে তাদের মনসাসপাতার বাড়িতে, নাগপরের বনে তার সেই খড়ের বাংলোর সামনের মাঠে, বল্যে সেই একটিবার গিয়াছিল লক্ষণ মহাজনের বাড়ি, তাদের উঠানের পাশে সেই পাকুর পাড়ুটাতে, নিশিচন্দিপরের পোড়ো-ভিটাতে, অপর্ণা ও সে *বশরিবাড়ির যে ঘরটাতে শইত-তারই জানালার গালে-চাঁপদানীতে পটেশ্ববরীদের বাড়ির উঠানে-দেওয়ান।পরের বোডিংয়ের কক্ষপাউণ্ডেড, জীবনের সাহিত জড়ানো এই সব স্থানের কথা ভাবিতেই জীবনের বিচিত্র তা, প্রগাঢ় রহস্য তাহাকে অভিভূত করিয়া ফেলিল*** এবার কলিকাতা হইতে বাড়ি ফিরিবার সময় মাপের পাড়া স্টেশনে নামিয়া অপ, আর হটিয়া বাড়ি যাইতে পারিল না-খোকাকে আজ দেড়মাস দেখে নাইছ’ক্লোশ রাস্তা পায়ে হাঁটিয়া বাড়ি পৌছিতে সন্ধ্যা হইয়া বাইবে-খোকার জন্য মন এত অধীর হইয়া উঠিয়াছে যে, এত দেরি করা একেধারেই অসম্প্রভাব ।-বাবার কথা মনে হইল-বাধাও ঠিক তাকে দেখিবার জন্য, দিদিকে দেখিবার জন্য এমনি ব্যস্ত হইয়া উঠিতেন - “প্রবাস হইতে ফিরিবার পথে তাদের বাল্য । আজকাল