পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত মনে হইল, যাগে যাগে এ জন্মমতুচক্র কোন বিশাল-আত্মা দেব-শিল্পীর হাতে আব্বতিত হইতেছে-তিনি জানেন কোন জীবনের পর জীবনে আসিতে হয়, কখনও বা সঙ্গতি, কখনও বা বৈষম্য -সবটা মিলিয়া অপােব রসসন্টি-ব্যহত্তর জীবনসল্টির আট ছ'হাজার বছর আগে হয়ত সে জন্মিঃাiছল প্রাচীন ঈজিপেট-সেখানে নলখাগড়া প্যাপিরাসের বনে, নীলনদের রৌপ্রদীপ্ত তটে কোন দরিদ্রুঘরের মা বোন বাপ ভাই বন্ধ বান্ধবদের দল কবে সে এক মায় শৈশব কাটাইয়া গিয়াহে-- আবার হয়ত জন্ম নিয়াছিল রাইন নদীর ধা1ে -কক-ওক বাচ ও বীচ বনের শ্যামল ছায়ায় বনেদী ঘরের প্রাচীন প্রাসাদে, মধ্যযাগের আড়ম্ববরপািণ আবহাওয়ায়, সন্দেরমখ সখীদের দল । হাজার বছর পর আবার হয়ত সে পথিবীতে ফিরিয়া আসিবে- তখন কি মনে পড়িবে এ ধারকারের এই জীবনটা ? ---কিংবা কে জানে আর হােত এ পথিবীতে মাসিবে না-ওই যে বটগাছের সারির মাথায় সন্ধ্যার ক্ষীণ প্রথম তারকাটি - ওদের জগতে অজানা জীবন-ধারার মধ্যে BBB BBB BDBBB SSJYBB BD BDB gBSBDBSeB BD BDBBBBuBS মাতু্য হইতে মাতুর মধ্য দিয়া***বহু, বহ, দীর অতীতে ও ভবিষ্যতে বিস্তৃত সে পথটা যেন বেশ দেখিতে পাইল• • • কত নিশিচনি দুপাের, কত অপণা, কত দােগা দিদি-জীবনের ও জন্মমাতুর বীথিপথ বহিয়া ক্লান্ত ও আনন্দিত আত্মার সে কি অপরােপ অভিযান - “শািন্ধ আনন্দে, যৌবনে, জীবনে পণ্যে ও দঃখে, শোকে ও শান্তিতে -এই সর্বটা লইয়া যে আসিল বহত্তর জীবন-পথিবীর জীবনটুকু যার ক্ষদ্র ভগ্নাংশ মাত্র-তার স্বপ্ন যে শাধাই কলপ বিলাস, এ যে হয় তা কে জানে --বৃহত্তর জীবনচক্র কোন দেবতার হাতে আব্বতিত হয় কে জানে ?***হয়ত এমন সব প্রাণী আছেন যাঁরা মানষের মত ছবিতে, উপন্যাসে, কবিতায় নিজেদের শিলপসন্টির আকাঙ্ক্ষা পণ করেন না-তাঁরা এক এক বিশব সম্মিট করেন। --তার মানষের সখে-দঃখে উখানে-পতনে আত্মপ্রকাশ করাই তাঁদের পদ্ধতি।--কোেনা মহান বিবতনের জীব তাঁর অচিন্তনীয় কলাকুশলতাকে গ্রহে গ্রহে নক্ষত্রে নক্ষত্রে এ-রকম রূপ দিয়াছেন-কে তাঁকে জানে ?-- একটি অবণনীয় আনন্দে, আশায়, অনভূতিতে, রহস্যে মন ভরিয়া উঠিল । প্রাণবন্ত তার আশা, সে অমর ও অনন্ত জীবনের বাণী বনলতার রৌদ্রদগধ শাখাপত্রের তিন্তু গন্ধ আনে। --নীলশন্যে বালিহাঁসের সাঁই সাঁই ব্লবে শোনায় । সে জীবনের অধিকার হইতে তাহাকে কাহারও বর্ণচনা করিবার শক্তি নাই।--তার মনে হইল সে দীন নয়, দঃখী নয়, তুচ্ছ নয়-ওটুকু শেষ নম্ন, এখানে আরম্ভও নয়।" সে জন্মজন্মান্তরের পথিক আত্মা, দরি হইতে কোন সদরের নিত্য নািতন পথহীন পথে তার গতি, এই বিপল নীল আকাশ, আগণ্য জ্যোতিলোক, সপ্তষিমন্ডল, ছায়াপথ, বিশাল অ্যাড্রোমিডা নীহারিকার জগৎ, বহিষাদ পিতলোক-এই শত সহস্ৰ শতাব্দী, তার পায়ে-চলার পথ- তার ও সকলের মাতু্যদ্বারা অস্পশট সে বিরাট জীবনটা নিউটনের মহাসমাদ্রের মত সকলে দুই পরোভাগে অক্ষান্ন ভাবে বর্তমান-নিঃসীম সময় বাহিয়া সে গতি সারা মানবের যাগে যাগে