পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত ܬܬ অনিলও তাই চায়, বলিল, দেখােন অপবাবাব, উনিশ কুড়ি একুশ বছর থেকে পঞ্চাশ ষাট বছর বয়সের লোক পর্যন্ত কি রকম গলির মধ্যে বাড়ির সামনেকার ছোট্ট রোয়াকিটুকুতে বসে আত্মজ্ঞা দিচ্ছে—এমন চমৎকার বিকেল, কোথাও বেরনো নেই, শরীরের বা মনের কোনও অ্যাডভেঞ্চার নেই, আসনপিাড়ি হয়ে সব ষষ্ঠী বাড়ি সেজে ঘরের কোণের কথা, পাড়ার গজব, কি দরে কে ওবেলা বাজারে ইলিশ মাছ কিনেছে সেই সাব-ওঃ হাউ আই হেট দেম ! আপনি জানেন না, এই সব র্যাঙ্ক স্টুপিডিটি দেখলে আমার রক্ত গরম হয়ে ওঠে-বরদাপ্ত করতে প্লারি নে মােটে-গা যেন কেমন -কিন্তু ভাই, তোমার ও গড়ের মাঠে আমার মন ভোলে না-মোটরের শব্দ, মোটর বাইকের ফটফট আওয়াজ, পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ, ট্রামের ঘড়ঘড়ানি-নামেই ভাই মাঠ, গঙ্গার কথা আর না-ই বা তুললাম ! -কাল আপনাকে নিয়ে যাব এক জায়গায় ! ববিতে পারবেন। একটা জিনিসএকটা ছেলে---আমার এক বন্দুধরে বন্ধ-ছেলেটা সাউথ আফ্রিকায় মানষে হয়েছে, সেইখানেই জাম-সেখান থেকে তার বাবা তাদের নিয়ে চলে এসেছে কলকাতায়, ফিয়াস লেনে থাকে । তার মাখের কথা শানে এমন আনন্দ হয় ! এমন মন ! এখানে থেকে মরে যাচ্ছে-শািনবেন তার মাখে। সেখানকার জীবনের বণনাহিংসে হয়, সত্যি ! অপর এখনি যাইতে চায়। অনিল বলিল, আজ থাকা কাল ঠিক যাব দ’জনে! দেখােন অপববাব, কিছ যেন মনে করবেন না, আপনাকে তখন কি সব বললাম বলে। আপনারা কি জন্যে তৈরী হয়েছেন জানেন ? ওসব চিপ ফাইনারীর খন্দের আপনারা কেন হবেন ? দেখান, এ পরিষ তো কেটে গেল, এ সময়ের কবি, বৈজ্ঞানিক, দাতা, লেখক, ডাক্তার, দেশসেবক-এরা তো কিছুদিন পরে সব ফৌত হবেন, তাঁদের হাত থেকে কাজ তুলে নিতে হবে কাদের, না, যারা এখন উঠছে । , একদল তো চাই এই জেনারেশনের হাত থেকে সেই সব কােজ নেবার ? সাহিত্যে, বিজ্ঞানে, অ্যাটো, দেশসেবায়, গানে-সব কিছতে, নতুন দল যারা উঠছে, বিশেষ করে যাদের মধ্যে গিফট আছে, তাদের কি হল্লোড় করে কাটাবার সময় ? অপমাখে হাসিয়া কথাটা উড়াইয়া দিল বটে, কিন্তু মনে মনে ভারী খােদশী হইল-কথার মধ্যে তাহারও যে দিবার কিছু আছে বা থাকিতে পারে সেদিকে ইঙ্গিত করা হইয়াছে ববিয়া । 3.

  • পরে দ’জনে বেড়াইতে বাহির হইল ।

द्धा”झtङिएछ নবম পরিচ্ছেদ ছাত্রীকে পড়াইতে যাইবার সময় অপর গায়ে যেন জবর আসে, ছাটি-ছাঁটার দিনটা না। যাইতে হইলে সে যেন বাঁচিয়া যায়। অদ্ভুত মেয়ে। এমন কারণ্যে-অকারণে