পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী। গ্রামে অল্পদিনে ওলাউঠার মড়ক আরম্ভ হবে-ব’লে দিও। চতুর্দশীর রাত্রে পঞ্চাননতলায় একশ’ আটটা কুমড়ো বলি দিয়ে যেন কালীপূজা করে। কথা শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গেই স্তম্ভিত স্বরূপ চক্রবর্তীর চোখের সামনে মেয়েটি চারিধারের শীত-সন্ধ্যার কুয়াশায় ধীরে ধীরে মিলাইয়া গেল। এই ঘটনার দিন-কয়েক পাবে সত্যই সেবার গ্রামে ভয়ানক মড়ক দেখা দিয়াছিল। এ সব গল্প কতবার শুনিয়াছে। জানালার ধারে দাড়াইলেই বিশালাক্ষী ঠাকুরের কথা তাহার মনে ওঠে। দেবী বিশালাক্ষীকে একটিবার দেখিতে পাওয়া যায় না ? হঠাৎ সে বনের পথে হয়ত গুলঞ্চের লতা পাডিতেছে--সেই সময় খুব সুন্দর দেখিতে, রাঙা-পাড় শাড়ী পরনে, হাতে গলায় মা-দুর্গার মত হার বালা । —তুমি কে ? -আমি অপু। --তুমি বড় ভাল ছেলে, কি বর চাও? সে বিছানায় গিয়া শোয় । এক একবার বিরবিরে হাওয়ায় কত কি লতাপাতাব তিক্তমধুর গন্ধ ভাসিয়া আসে, ঠিক দুপুৰ বেলা, অনেক দূরের কোনো গাছের মাথার উপর হইতে গাঙ-চিল টানিয়া টানিয়া ডাকে, যেন এই ছোট গ্রামখানির অতীত ও বর্তমান সমস্ত ছোটাে-খাটাে সুখ-দুঃখ শাস্তি-দ্বন্দ্বের উর্ধে, শরৎ-মধ্যাহ্নের রৌদ্রভরা, নীল-নির্জন আকাশপথে, এক উদাস, গৃহ-বিবাগী পথিক-দেবতার সুকণ্ঠের অবদান দূর হইতে দূরে মিলাইয়া চলিয়াছে । কখন সে ঘুমাইয়া পড়ে বুঝিতে পারে না, ঘুমাইয়া উঠিয়া দেখে বেলা একেবাবে নাই। জানালার বাহিবে সারা বনটায় ছায়া পড়িয়া আসিয়াছে, বঁাশঝাড়ের আগায় রাঙা রোদ । প্রতিদিন এই সময়ে-ঠিক এই ছায়া-ভরা বৈকালটিতে নির্জন বনের দিকে চাহিয়া তাহার অতি অদ্ভুত কথা সব মনে হয়। অপূর্ব খুশিতে মন ভরিয়া ওঠে, মনে হয় এ রকম লতাপাতার মধুর গন্ধভরা দিনগুলি ইহার আগে কবে একবার যেন আসিয়াছিল, সে সব দিনের অনুভূতি আনন্দের অস্পষ্ট স্মৃতি BDBB gDD DBDDBDBD DBBBDB BD DDBDD DBDBBDBD S DBBBD DBB BBDBD S BB BDB DB BB DD DBS i BDD DDD DD DBDB DJS একটা বড় কোনো আনন্দ ইহাদের শেষে অপেক্ষা করিয়া আছে যেন । এই অপরাকুগুলির সঙ্গে, আজন্মসাখী, সুপরিচিত, এই আনন্দ ভরা বহুরূপী }) à