পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই মেয়েটি অল্পক্ষণের মধ্যেই সামান্য সূত্র ধরিয়া তাহার চারিপাশে এমন একটা হাসি-কৌতুকের জাল বুনিতে পারে—যাহা নীরেনের ভারি ভাল লাগে। যে ধরণের লোকের মনের মধ্যে আনন্দের এমন অফুরন্ত ভাণ্ডার থাকে, কারণেঅকারণে যার অন্তনিহিত আনন্দের উৎস মনের পাত্র উপচাইয়া পড়িয়া অপরকেও সংক্রামিত করিয়া তোলে, এই পল্লীবধুটি সেই দলের একজন। আজকাল নীরেন মনে মনে ইহারই আগমনের প্রতীক্ষা করে—না আসিলে নিরাশ হয় ; এমন-কি যেন একটু গোপন অভিমানও হইয়া থাকে। -আচ্ছা, বৌদি, আপনাদের সবাই চলুন। একবার পশ্চিমে, সব বেড়িয়ে নিয়ে আসি । —এবাড়ীর লোকে বেড়াতে যাবে পশ্চিমে ! তুমিও যেমন ঠাকুরপো! তাহলে উত্তর মাঠের বেগুন-ক্ষেতে চৌকি দেবে কে ? কথার শেষে সে আর একদফা ব্যঙ্গমিশ্রিত কৌতুকের হাসি হাসিয়া উঠিল। একটু পরে গভীর হইয়া নীচু সুরে বলিল-দ্যাখো, ঠাকুরপো, একটা কথা রাখবে। --কি কথা বলুন আগে। -श िब्रांएथों 6डों बलि । -ও সাদা কাগজে সই করা আমার দ্বারা হবে না, বৌদি ! জানেন তো আইন পড়ি ! আগে কথাটা শুনবো, তারপর কথার উত্তর দেবো। গোকুলের বউ দুয়ার ছাড়িয়া ঘরের মধ্যে আসিল । কাপড়ের ভিতর হইতে একটা কাগজের মোড়ক বাহির করিয়া বলিল-এই মাকৃড়ী দু’টো রেখে আমায় পাচটা টাকা দেবে ? নীরেন। বিস্ময়ের সুরে বলিল-কেন বলুন তো ? -সে এখন বোলবো না। দেবে ঠাকুরপো ? -আগে বলুন টাকা দিয়ে কি হবে ? নৈলে কিন্তুগোকুলের বৌ নিম্নম্বরে বলিল-আমি এক জায়গায় পাঠাবো। দ্যাখে তো এই চিঠিখানার ওপরের ঠিকানাটা ইংরিজিতে কি লেখা আছে। नौठलन' अंद्धिग्र। बलिज-अioनांद्म डाई, मl cबोनेि ? —চুপ চুপ, এ বাড়ীর কাউকে বোলো না যেন! পাঁচটা টাকা চেয়ে পাঠিয়েচে, কোথায় পাবো ঠাকুরপো, কি রকম পরাধীন জানো তো ? তাই ভাবলাম। এই মাকৃড়ী দু’টো-টােকা পাঁচটা দাও গিয়ে ঠাকুরপো-হতভাগা। ছোড়াটার কি কেউ আছে ভূ-ভারতে ? --গোকুলের বউএর গলার স্বর চোখের জলে ভারী হইয়া উঠিল। 393