পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক রাত্রে সর্বজয়ার ঘুম ভাঙিয়া যায়, অপু, ডাকিতেছে-মা, ওমা ওঠে- আমার গায়ে জল পডচে সর্বজয়া উঠিয়া আলো জালে-বাহিরে ভয়ানক বৃষ্টির শব্দ হইতেছে-ফুটা ছাদ দিয়া ঘরের সর্বত্র জল পন্ডিতেছে। সে বিছানা সরাইয়া পাতিয়া দেয়। দুৰ্গা অঘোর জ্বরে শুইয়া আছে।--তাহার মা গায়ে হাত দিয়া দ্যাখে তাহার গায়ের কঁথা ভিজিয়া সাপ সাপ করিতেছে। ডাকিয়া বলে-দুৰ্গা-ও দুর্গা শুনচিস? একটু ওঠা দিকি ? বিছানাটা সরিয়ে নি ও দুৰ্গা-শীগগির, একেবারে ভিজে গেল যে সব ? ছেলেমেয়ে ঘুমাইয়া পড়িলেও সর্বজয়ার ঘুম আসে না। অন্ধকার রাতএই ঘন বর্ষা-তোহার মন ছমছম করে-ভয় হয় একটা যেন কিছু ঘটবে।--কিছু ঘটবে। বুকের মধ্যে কেমন যেন করে। ভাবে-সে। মানুষেরই বা কি হোল ? ফোন পত্তিরও আসে না-টাকা মরুকৃগে যাকৃ। এরকম তো কোনবার হয় না ? তার শবীবটা ভাল আছে তো ? মা সিদ্ধেশ্বৰী, স-পাচ আনার ভোগ দেবো, ভাল খবর এনে দাও মা ! তার পাবদিন সকালেব দিকে সামান্য একটু বৃষ্টি থামিল। সৰ্বজয়া বাটির বাহির হইয়া দেখিল বঁাশবনেব মধ্যে বা ছোট ডোবাটা জলে ভর্তি হইয়া গিয়াছে। ঘাটের পথে নিবাবণেব মা ভিজিতে ভিজিতে কোথায় যাইতেছিল, সৰ্বজয়া ডাকিয়া বলিল-ও নিবাবণেব মা শোন-পবে। সলজভাবে বলিলসেই তুষ্ট একবাব বলেছিলি না, বিন্দাবুনি চাদরের কথা তোর ছেলের জন্যে নিবারণের মা বলিল-আছে ? দেয়া একটু ধরুকৃ, মোর ছেলেরে সঙ্গে ক’বে এখনি আসবো এখন-নতুন আছে মা-ঠাকুরুণ, না পুবোনো ?-- সর্বজয়া বলিল, তুই আয় না-এখুনি দেখবি ? একটু পুরোনো কিন্তু সে কেউ গায়ে দেয়নি-ধোয়া তোলা আছে-পরে একটু থামিয়া বলিল-তোরা আজকাল চাল ভানছিল নে ? নিবারণের মা বলিল-এই বাদলায় কি ধান শুকোয় মা-ঠাকৃরোণ ?-খাবার ব’লে দুটোখানি রেখে দিইচি অমনি সবজয়া বলিল-এক কাজ করা না-তাই গিয়ে আমার আধিকাঠা খানেক আজ দিয়ে যাবি ? একটু সরিয়া আসিয়া মিনতির সুরে বলিল-বিষ্টির জন্যে বাজার থেকে চাল আনবার লোক পাচ্ছি নে-টাকা নিয়ে বেড়াচ্ছি, তা কেউ যদি রাজি হয়-বড় মুস্কিলে পড়িচি মা। DBLLuBB D BDDBDB DDD BDSYiDDDiYiLBLBDBB DED DSuiS S S , अभू-३२ እዓዒ