পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—কি রে দিদি ? পরে সে দিদির মুখের আরও কাছে মুখ লইয়া গেল -আমায় একদিন তুই রেলগাড়ী দেখাবি ? -দেখাবো এখন-তুই সেরে উঠলে বাবাকে ব’লে আমরা সব একদিন গঙ্গা নাইতে যাবো রেলগাড়ী ক’রে- সারা দিন-রাত্রি কাটিয়া গেল। বড় বৃষ্টি কোনও কালে হইয়াছিল মনে হয় না। চাবিধারে দাকণ শবতেব রৌদ্র। সকাল দশটাব সময় নীলমণি মুখুয্যে অনেকদিন পরে নদীতে স্নান করিতে যাইবেন বলিয়া তেল মাখিতে বসিয়াছেন, তাহার স্ত্রীর উত্তেজিত সুর তঁর কানো গেল-ওগো, এসে তো একবার এদিকে শীগগিব-অপুদের বাড়ীর দিক থেকে যেন একটা কান্নার গলা পাওয়া যাচ্ছে ব্যাপাব কি দেখিতে সকলে ছুটিয়া গেলেন । সর্বজয়া মেয়েব উপর ঝুকিয়া পডিষা বলিতেছে-ও দুগগা চা দিকি-ওমা ভাল ক’বে চা দিকি-ও দুগংগা নীলমণি মুখুযো ঘবে ঢুকিয়া বলিলেন-কি হয়েচে-সরো সরো সব দিকি -আহা কি সব বাতাসটা বন্ধ ক’রে দাড়াও ? • সর্বজয়া ভাসুব সম্পর্কেবা প্রবীণ প্রতিবেশীর ঘরের মধ্যে উপস্থিতি ভুলিয়া গিয়া চীৎকার কবিয়া উঠিল-ওগো, কি হোল, মেয়ে অমন করচে কেন ? দুৰ্গা আর চাহিল না। আকাশের নীল আস্তরণ ভেদ করিয়া মাঝে মাঝে অন্তরের হাতছানি আসেপৃথিবীর বুক থেকে ছেলেমেয়েরা চঞ্চল হইয়া ছুটিয়া গিয়া অনন্ত নীলিমার মধ্যে ডুবিয়া নিজেদের হারাইয়া ফেলে—পরিচিত ও গতানুগতিক পথের বহুদূরপারে কোন পথহীন পথে-দুৰ্গােব অশান্ত, চঞ্চল প্রাণের বেলায় জীবনের সেই সর্বাপেক্ষা বড় অজানাবা ডাক আসিয়া পৌছিয়াছে ! তখন আবার শরৎ ডাক্তারকে ডাকা হইল। বলিলেন-ম্যালেরিয়ার শেষ স্টেজটা আর কি-খুব জ্বরের পল যেমন বিরাম হয়েচে আর অমনি হার্টফেল ক’রো-ঠিক এরকম একটা case হ’য়ে গেল সেদিন দশঘবায়আধঘণ্টার মধ্যে পাড়ার লোকে উঠান ভাঙিয়া পডিল। পথের পাঁচালী পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ হরিহর বাড়ীর চিঠি পায় নাই । এবার বাড়ী হইতে বাহির হইয়া হরিহর রায় প্রথমে গোয়াড়ী কৃষ্ণনগর Strr