পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যায়। কাহারও সঙ্গে তথায় তাহার পরিচয় ছিল না। শহর-বাজার জায়গা, একট। না একটা কিছু উপায় হইবে এই কুহকে পড়িয়াই সেখানে গিয়াছিল। গোয়াড়ীতে কিছুদিন থাকিবার পর সে সন্ধান পাইল যে, শহরে উকিল কি জমিদারের বাড়ীতে দৈনিক বা মাসিক চুক্তি হিসাবে চণ্ডীপাঠ করার কার্য প্রায়ই জুটিয়া যায়। আশায় আশায় দিন পনেরো কাটাইয়া বাড়ী হইতে পথখরচ বলিষা যৎসামান্য যাহা কিছু আনিয়াছিল ফুরাইয়া ফেলিল, অথচ কোথাও কিছু সুবিধা হইল না । সে পড়িল মহাবিপদে-অপরিচিত স্থান, কেহ একটি পয়সা দিয়া সাহায্য করে। এমন নাই-খোডে বাজারের যে হোটেলটিতে ছিল, পয়সা, ফুয়াইয়া গেলে সেখান হইতে বাহির হইতে হইল। একজনের নিকট শুনিল স্থানীয় হরিসভায় নবাগত অভাবগ্রস্ত ব্রাহ্মণ পথিককে বিনামূল্যে থাকিতে ও খাইতে দেওয়া হয়। অভাব জানাইয়া হরিসভার একটা কুঠুরির একপাশে থাকিবার স্থান পাইল বটে, কিন্তু সেখানে বড় অসুবিধা, অনেকগুলি নিষ্কৰ্মা গাজাখোর লোক রাত্রিতে সেখানে আডিডা করে, প্রায় সমস্ত রাত্রি হৈ হৈ কারিয়া কাটায়, এমন কি গভীর রাত্রিতে এক একদিন এমন ধরণের স্ত্রীলোকের যাতায়াত দেখা যাইতে লাগিল। ষােহাঁদের ঠিক হরিমন্দির দর্শন-প্রাথিনী ভদ্রমহিলা বলিয়া মনে হয় না। অতিকষ্টে দিন কাটাইয়া সে শহরে বড় বড় উকীল ও ধনী গৃহস্তের বাড়ীতে ঘুরিতে লাগিল। সারাদিন ঘুবিয়া অনেক বাত্রিতে ফিরিয়া এক-একদিন দেখিত তাহাবই স্থানটিতে তাহারই বিছানাটা টানিয়া লইয়া কে একজন অজ্ঞাতকুলশীল ব্যক্তি নাক ডাকাইয়া ঘুমাইতেছে। হরিহর কয়েকদিন বাহিরের বারান্দায় শুইয়া কাটাইল । প্রায়ই এরূপ হওয়াতে ইহা লইয়া গাঁজাখোর সম্প্রদায়ের সহিত তাহার একটি বাচসা হইল। পরদিন প্রাতে তাহারা হরিসভার সেক্রেটারীর কাছে গিয়া কি লাগাইল তাহারাই জানে—সেক্রেটারী বাবু নিজ বাড়ীতে হরিহরকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন ও বলিলেন, তঁাহাদের হরিসভায় তিনদিনের বেশী থাকিবার নিয়ম নাই, সে যেন অন্যত্র বাসস্থান দেখিয়া লয়। সন্ধ্যার পরে জিনিসপত্র লইয়া হরিহরকে হরিসভার বাড়ী হইতে বাহির छ्शेर७ श्छेल । খোড়ে নদীর ধারে অল্প একটু নির্জন স্থানে পুটুলিটি নামাইয়া রাখিয়া নদীর জলে হাত মুখ ধুইল । সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নাই-সেদিন একটি কাঠের গোলাতে বসিয়া শুঠামাবিষয় গান করিয়াছিল-গোলার অধিকারী একটি টাকা প্রণামী দেয়Bu D DBB DBB BBBB BDDDBDB BBDBBD DBBDBD DDi D DDD DDD rళి