পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একখানা ভাল কাপড়, ভাল দেখিয়া আলতা কয়েক পাতা। অপুর ‘পদ্মপুরাণ” অনেক সন্ধান কবিয়াও মিলিল না, অবশেষে একখানা ‘সাচীত্রে চওঁী-মাহাত্ম্য বা কালকেতুর উপাখ্যান’ ছয় আনা মূল্যে কিনিয়া লইল। গৃহস্থালীর টুকটাক হু একটা জিনিস-সর্বজয়া বলিয়া দিয়াছিল একটা কাঠের চাকী-বেলুনের কথা, ठांश्iv3 किनिक्ल | দেশের স্টেশনে নামিয়া হঁটিতে হঁটিতে বৈকালের দিকে সে গ্রামে আসিয়া পৌঁছিল। পথে বড় একটা কাহারও সহিত দেখা হইল না, দেখা হইলেও সে হন হন করিয়া উদ্বিগ্নচিত্তে কাহারও দিকে বিশেষ লক্ষ্য না করিয়া বাড়ীর দিকে চলিল। দরজায় ঢুকিতে ঢুকিতে আপন মনে বলিল—উঃ দ্যাখো কাণ্ডখানা, বঁাশ-ঝাড়টা ঝুকে পড়েচে একেবারে পাচিলের ওপর, ভুবন কাকা কাটাবেনও না-মুস্কিল হয়েছে। আচ্ছা-পরে সে বাড়ীর উঠানে ঢুকিয়া অভ্যাসমত আগ্রহের সুরে ডাকিল-ও অপু তাহার গলার স্বর শুনিয়া সর্বজয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া আসিল । হরিহর হাসিয়া বলিল,-বাড়ীর সব ভালো ? এরা সব কোথায় গেল ? বাড়ী নেই বুঝি ? সর্বজয়া শান্তভাবে আসিয়া স্বামীর হাত হইতে ভারী পুটুলিট নামাইয়া লইয়া বলিল, এসো-ঘরে এসো। স্ত্রীর অদৃষ্টপূর্ব শান্তভােব হরিহর লক্ষ্য করিলেও তাহার মনে কোনো খটকা হইল না।--তাহার কল্পনার স্রোত তখন উদ্দাম বেগে অন্যদিকে ছুটিয়াছে-এখনই ছেলে মেয়ে ছুটিয়া আসিবে, দুৰ্গা আসিয়া হাসিমুখে বলিবে-কি বাবা এর মধ্যে ? আমনি তাড়াতাড়ি হরিহর পুটুলি খুলিয়া মেয়ের কাপড় ও আলতার পাতা এবং ছেলের ‘সচিত্র চণ্ডীমাহাত্ম্য বা কালকেতুর উপাখ্যান” ও টিনের রেলগাড়ীটা দেখাইয়া তাহাদের তাক লাগাইয়া দিবে! সে ঘরে ঢুকিতে ঢুকিতে বলিল, বেশ কঁঠালের চাকীবেলুন। এনিচি এবার-পরে কিছু নিরাশামিশ্রিত সতৃষ্ণনয়নে চারিদিকে চাহিয়া বলিল, কৈ-অপু, দুগগা এরা বুঝি সব বেরিয়েচে সৰ্বজয়া আর কোনো মতেই চাপিতে পারিল না। উচ্ছসিতকণ্ঠে ফুকারিয়া কঁাদিয়া উঠিল-ওগো দুগগা কি আর আছে গো-মা যে আমাদের কঁাকি দিয়ে চ’লে গিয়েচে-এতদিন কোথায় ছিলে । গাঙ্গুলী বাড়ীর পূজা অনেক কালের। এ কয়দিন গ্রামে অতি বড় দরিদ্রও অভুক্ত থাকে না। সব বনেদি বন্দোবস্ত, নির্দিষ্ট সময়ে কুমার আসিয়া প্রতিমা ...t, Strig