পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশপুরের মধ্যে ঢুকিয়া পথের ধারে একটা ছোট্ট চালাঘরে পাঠশালা বসিয়াছে, ছেলেরা সুর করিয়া নামত পড়িতেছে, সে দাড়াইয়া শুনিতে লাগিল । গুরুমশায়ের বয়স বেশী নয় ; তাহদের গায়ের প্রসন্ন গুরুমশায়ের চেয়ে অনেক কম । আর এক কথা তাহার বার বার মনে হইতেছিল। এইতো সে বড় হইয়াছে, আর ছোট নাই, ছোট থাকিলে কি আর মা একা কোথাও ছাড়িয়া দিত ?• • • এখন কেবলই চলা, কেবলই সামনে আগাইয়া যাওয়া। তাহা ছাড়া, আসচে মাসের এই দিনটিতে তাহারা কতদূরে, কোথায় চলিয়া যাইবো! কোথায় সেই কাশী-সেখানে! ' বৈকালের দিকে গঙ্গানন্দপুরে গিয়া পৌছিল। পাডার মধ্যে পৌছিতেই কোথা হইতে রাজ্যোব লজ তাহাকে এমন পাইয়া বসিল যে, সে কোনো দিকে চাহিতেই পারিল না। কায়ক্লেশে সম্মুখেব পথে দৃষ্টি বাখিয়া কোনরকমে পথ চলিতে লাগিল। তাহার মনে হইল সকলেই তাহাব দিকে চাহিতেছে। সে যে আজ আসিবে তাহা যেন সকলেই জানে, হয়তো ইহার এতক্ষণ মনে মনে বলিতেছে-এই সেই যাচ্ছে, দ্যাখ, দ্যাখ্য' চেয়ে। সে যে পুটুলির ভিতর বঁাধিয়া নারিকেল-নাড়ু লইয়া যাইতেছে, তাহাও যেন সকলে জানে। তাহার পিসেমশাই কুঞ্জ চক্রবর্তীর বাড়ীটা কোনদিকে একথাটা পর্যন্ত সে কাহাকেও জিজ্ঞাসা কবিতে পারিল না । অবশেষে এক বুড়ীকে নির্জনে পাইয়া তাহাকেই জিজ্ঞাসা করাতে সে বা ও দেখাইয়া দিল। বাড়ীটার সামনে পাচিল ঘেরা। উঠানে ঢুকিয়া সে কাহবার সাক্ষাৎ পাইল না। দু একবার কাশিল, মুখ দিয়া কথা বাহির হয়। সাধ্য কুলটি কতক্ষণ সে চৈত্রমাসের খররৌদ্রে বাহিরের উঠানে দাড়াইয়! থাকিত ঠিল-- নাই, কিন্তু খানিকটা পরে একজন আঠারো উনিশ বছরের শ্যামবর্ণ মেয়ে যাৱ কাজে বাহিরে আসিয়া রোয়াকে পা দিতেই দেখিল—দরজার কাছে কাহাদেক। একটি অপরিচিত, প্রিয়দর্শন বালক পুটুলি হাতে লজ্জাকুষ্ঠিত ভাবে দাড়াইয়া আছে। মেয়েট বিস্মিতভাবে বলিল-তুমি কে খোকা ? কোথেকে আসচো ? Yi BDDBDB DBB DBBDDBD DDBD DDB BuBB DDDYi DBDDD बांौ-निकिमिभूल, चांचांद्र-मांग अभू। তাহার মনে হইতেছিল-শুনা আসিলেই ভাল হইত ! হয়তো তাহার পিসিম তাহার এরূপ অগ্রত্যাশিত আগমনে বিরক্ত হইছে, হয়তো ভাবিৰে কোথা