পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলকে পিছনে ফেলিয়া গাড়ী বাহিরের উলুখড়ের মাঠে আসিয়া পড়িল। গাছপালাগুলা সাটুসন্টু করিয়া দুদিকের জানালার পাশ কাটাইয়া চুটিয়া, পলাইতেছে-কী বেগ ! এরই নাম রেলগাড়ী ! উঃ মাঠখানা যেন ঘুরাইয়া, ফেলিতেছে। ঝোপঝাপ গাছপালা, উলুখড়ের ছাউনি ছোটো-খাটো চাষাদের ঘর সব একাকার করিয়া দিতেছে! গাড়ীর তলায় জাতী-পেষার মত একটানা শব্দ হইতেছে-সামনের দিকে ইঞ্জিনের কি শব্দটা ! মাঝেরপাড়া স্টেশনের ডিসট্যাণ্ট সিগন্যালখানাও ক্রমে মিলাইয়া যাইতেছে । অনেকদিন আগের সে দিনটা । সে ও দিদি যেদিন দুজনে বাছুর খুজিতে খুজিতে মাঠ-জলা ভাঙিয়া, উধ্বশ্বাসে রেলের রাস্তা দেখিতে ছুটয়া গিয়াছিল ! সেদিন--আর আজ ? ঐ যেখানে আকাশের তলে আষাঢ় দুৰ্গাপুরের বাধা সড়কের গাছের সারি ক্রমশঃ দূর হইতে দূরে গিয়া পড়িতেছে, ওরাই ওদিকে যেখানে তাহাদের গায়ের পথ বাকিয়া আসিয়া সোনাডাঙা মাঠের মধ্যে উঠিয়াছে, সেখানে পথের ঠিক সেই মোড়টিতে, গ্রামের প্রান্তের বুড়ো জামতলাটায় তাহার দিদি যেন মানমুখে দাড়াইয়া তাহদের রেলগাড়ীর দিকে চাহিয়া আছে!••• তাহাকে কেহ লইয়া আসে নাই, সবাই ফেলিয়া আসিয়াছে, দিদি মারা গেলেও দুজনের খেলা করার পথেঘাটে বাশবনে আমতলায় সে দিদিকে যেন এতদিন কাছে কাছে পাইয়াছে, দিদির অদৃশ্য স্নেহস্পর্শ ছিল নিশ্চিন্দিপুরের ভাঙা কোঠাবাড়ীর প্রতি গৃহ কোণে-আজ কিন্তু সত্যসত্যই দিদির সহিত চিরকালের ছাড়াছাড়ি হইয়া গেল ! • • • তাহার যেন মনে হয়, দিদিকে আর কেহ ভালবাসিত না, মা নয়, কেউ নয়। কেহ তাহাকে ছাড়িয়া আসিতে দুঃখিত নয়। হঠাৎ অপুর মন এক বিচিত্র অনুভূতিতে ভরিয়া গেল!! তাহা দুঃখ নয়, , শোক নয়, বিরহ নয়, তাহা কি সে জানে না । কত কি মনে আসিল অল্প একমুহূর্তের মধ্যে-আতুরী ডাইনী-‘নদীর ঘাট"তাহাদের কোঠাবাড়ীটা-চালতে তলার পথ-প্রাণুদি-“কত বৈকাল, কত দুপুর" কতদিনের কত হাসি-খেলাश्र’निषिद्ध মুখ-দিদির কত না-মেটা ग• • দিদি এখনও একদৃষ্টি চাহিয়া আছে-- পরীক্ষণেই তাহায় মনের মধ্যের অবাকৃ-ভাষা চোখের জলে আত্মপ্রকাশ BDB DBDD LBB BiDBB DBBBB DBDB DDDYLDD D DS BDD LDBBD DDDDS DBB BDB BLB BDDYT DBB DDBD LDuDuTYS