পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sac- جھانس পথের পাঁচালী প্রথম পরিচ্ছেদ ইন্দির ঠাকরুণ ফিরিয়া আসিয়াছে ছয় মাস হইল, সর্বজয়া কিন্তু ইহার মধ্যে একদিনও বুজীব সঙ্গে ভাল করিয়া কথা কহে নাই। আজকাল তাহার আরও মনে হয় যে ঐ বুড়ী ডাইনী সাতকুলখাগীটাকে তাহার মেয়ে যেন তাহার চেয়েও ভালবাসে । হিংসা তো হয়ই, বাগও হয়। পেটের মেয়েকে পর করিয়া দিতেছে। দু’বেলা কথায় কথায় বুড়ীকে সময় থাকিতে পথ দেখিবার উপদেশ ইঙ্গিতে জানাইয়া দেয়। সে পথ কোন দিকে-জ্ঞান হইয়া অবধি আজ পর্যন্ত সত্তর বৎসরের মধ্যে বুড়ী তাহাব সন্ধান পায় নাই, এতকাল পরে কোথায় তাহা মিলিবে, ভাবিয়াই সে ঠাকুব পায় না । বর্ষার শেষদিকে বুড়ী অবশেষে এক যুক্তি ঠাওরাইল। ছয় ক্রোশ দূরে ভাণ্ডাবহাটিতে তাহাব জামাই বাড়ী।। তাহার জামাই চন্দ্র মজুমদার বঁাচিয়া আছেন। জামাইয়েব অবস্থা বেশ ভাল, সম্পন্ন গৃহস্ত, অবশ্য মেয়ে মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জামাই-এর সঙ্গে সম্পর্ক উঠিয়া গিয়াছে-আজ পয়ত্রিশ-ছত্রিশ বৎসরের আগের কথা-মাতাহার পর আর কখনও দেখাশোনা বা খবরাখবর লেন-দেন হয় নাই। তবুও যদি সেখানে যাওয়া যায়, জামাই একটু আশ্রয় দিতে কি গররাজী হইবে ? সন্ধ্যার পূর্বে ভাণ্ডারহাটি গ্রামে ঢুকিয়া একখানা বন্ড চণ্ডীমণ্ডপের সম্মুখে গাড়োয়ান গাভী দাড ক’বাইল । গাডোয়ানেব ডাক-হঁাকে একজন চব্বিশপচিশ বৎসরের যুবক আসিয়া বলিল-কোথাকার গাড়ী ? তাহার পিছনে পিছনে একজন বৃদ্ধ বাড়ীর ভিতর হইতে জিজ্ঞাসা করিতে করিতে বাহির হইলেন-কে রাধু ? জিজ্ঞেস করে। কোথা থেকে আসছেন ? বুড়ী চিনিল-কিন্তু অবাক হইয়া রহিল-এই সেই তাহার জামাই চন্দর ! চল্লিশ বৎসর পূর্বের সে সবল দোহার-গর্ডন স্বচেহারা ছেলেটির সঙ্গে এই পঙ্ককেশ প্রবীণ ব্যক্তির মনে মনে তুলনা করিয়া সে যেন হাপাইয়া উঠিল। পরীক্ষণেই কেমন এক বিভিন্ন ভাবের সংমিশ্রণে-উৎপন্ন-না-হাসি না-দুঃখ-গোছের মনের ভাবে সে বিহবিলের মত ডাক ছাডিয়া কঁাদিয়া উঠিল। অনেক দিন পরে মেয়ের নাম ধরিয়া কঁাদিল । বিস্ময়বিমূঢ় চন্দ্র মজুমদার প্রথমটা আকাশ-পাতাল হাতড়াইতেছিলেন, পরে ব্যাপারটা বুঝিলেন ও আসিয়া শাশুড়ীর পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম RR