পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে ভাবে-ওঃ ! কতক্ষণ ব’সে থাকবে।--বেশ তো ? আমার বুঝি একটু বেডাতে কি খেলা করতে নেই। কনকনে ঠাণ্ডায় পা অবশ হইয়া আসে। তাহার মন ছটফটু করে-একদৌডে একেবারে সেই দশাশ্বমেধ ঘাট । জলের রানা, নির্মল মুক্ত হাওয়া, সুবেশ নরনারীর ভিড়। পণ্ট, সুধীর গুলু-পটল*** পণ্টার দাদা। রামনগরের রাজার সেই ময়ুরপঙ্খীটার আজ আবার বাচ, বেলা চারটার সময়। উসখুসি করিতে করিতে চক্ষুলজ্জায় সন্ধ্যা করিয়া ফেলে, মায়ের ভয়ে যাইতে সাহস পায় না। সকালে সর্বজয়া একদিন ছেলেকে বলিল-হঁ্যারে ওই সাদা বাড়ীটার পাশে কোন ছত্তর জানিস? ཡས་ཀྱི་ཆུ་མང་། --তুই ছত্তরে খাসনি একদিনও এখানে এসে ? কাশীতে এলে ছত্তরে খেতে হয়। কিন্তু, জানিসনে বুঝি ! খেয়ে আসিস না আজ--দেখেই আসিস না ? --কাশীতে এলে ছত্তরে খেতে হয় কেন ? --খেলে পুণ্যি হয়-আজ দশাশ্বমেধ ঘাটে নেয়ে অমনি ছত্তর থেকে খেয়ে আসিস-বুঝলি । বেলা বারোটায় সময় সত্র হইতে খাইয়া অপু বাড়ী ফিরিল। তাহার মা রান্নাঘরের বারান্দায় বসিয়া বাটিতে কি লইয়া খাইতেছিল-তাহাকে দেখিয়া প্রথমটা লুকাইবার চেষ্টা করিলা বটে কিন্তু অপু অত্যন্ত কাছে আসিয়া পডিয়াছে -লুকাইতে গেলে সন্দেহ জাগানো হয় ভাবিয়া সহজ সুরে বলিবার চেষ্টা করিল। --খেয়ে এলি ? কেমন খাওয়ালে রে ? মা অড়হরের ডাল ভিজা খাইতেছে। --ভালো না?--কুমড়োর একটা ছাই ঘণ্ট-ব’সে ব’সে হয়রান-বডড ময়লা কাপড় পরা লোক সব খেতে যায়-আমি আর যাচ্ছি নে, পুণ্যিতে আমার দরকার নেই-ওকি খাচ্চ মা ? তোমার বের্তে নাকি ? রান্না হয় নি ? -আজতো আমার কুলুইচণ্ডী! এই দুটো অড়হরের ডাল ভিজে-বেশ । খেতে লাগে-আমি বড় ভালবাসি-খাবি দুটো ওবেলা ? রাত্রিতেও রান্না হইল না । তাহার মা বলিল-আড়হরের ডাল ভিজে খেয়ে ত্যাখ্যা দিকি ? বেশ লাগবে এখন-এবেলা রাধলাম না, ভারি তো খাস, এত কটা ভার্তে বসিস বই তো নয়-ওই খেয়ে কি আর খেতে পারুবি ? পরদিন দুপুরে নন্দবাবু একতাড়া পান অপুর হাতে দিয়া বলিল-তোমার মায় কাছ থেকে সেজে নিয়ে এসে তো ? রোগীর ঘরের পাশের ঘরে সর্বজয়ী বসিয়া পান সাজিতেছে ; মন্দবাবু জুতার শব্দ করিতে করিতে উপায় হইতে 2蒂鴨↔