পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের পাঁচালী দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ পরের বাড়ী নিতান্ত পরাধীন অবস্থায় চােরের মত থাকা সৰ্পজয়ার জীবনে এই প্রথম। সুখে হীেক, দুঃখে হৌক, সে এতদিন এক ঘরের একটা গৃহিণী ছিল। দরিদ্র সংসারের রাজরাণী—সেখানে তাহার হুকুম এই এত বড় বাড়ীর গৃহিণী, বৌ-রাণীদের চেয়ে কম কার্যকরী ছিল না। এ যেন সর্বদা জুজু হইয়া থাকা, সর্বদা মন যোগাঈয়া চলা আর একজনের মুখের দিকে চাহিয়া পথ হঁাটা, পান। থেকে চুন না খসে ! ছোটর ছোট তস্য ছোট -এ তাহার অসহ্য হইয়। উঠতেছিল। খাটিতে খাটিতে মুখে রক্ত ওঠে-কিন্তু এখানে খাটার মূল্য নাই। প্রাণপণে খাটাে-কেহ নাম করিবার নাই। উহারা যখন দিবে তখন গর্বের সঙ্গে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিবে-তোমার খাটার মূল্য দিতেছে বলিয়া সামনে সামনে দিবে না। তোমাকে হাটু १ांछिद्माझे नशेgऊ श्द। এ ক্রমে ৩াহার অসহ্য হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু উপায় কি ?—বাহিরে যাইবার সুবিধা কই ? আশ্রয় কে দিবে ? কোথায় দাড়াইলে ? চিরকাল এইরকম কাটিবে ? যতদিন বঁাচিবে ততদিন ? ঐ বামনি মালীর মত ?-- বিবাহের উৎসবের জের এখনও মেটে নাই, আজ মেয়েদের প্রতিভোজ । সন্ধ্যার পর হইতেই নিমন্বিত মহিলাদের গাড়ী পেছনের গেটে আসিতে সুরু করিল। ভিতরের বড় দরজা পার হইয়া সম্মুখেই মেয়ে-মহলের দোতলার ধাৱান্দায় উঠবার চওড়া মার্বেলের সিড়িটা নীলফুলের কাজ-করা কার্পেট দিয়া মোড়া। সারা বারান্দাতে ও সিড়িতে গ্যাসের আলো, দোতলার বারান্দায় উঠবার মুখে বড় গ্যাসের ঝাড় জলিতেছে। দুই ৰীে-রাণী ও বাড়ীর মেয়েরা অভ্যর্থনা করিয়া সকলকে উপরে পাঠাইয়া দিতেছিলেন। নিমন্বিতা মেয়েরা কেহ মুচকি হাসিয়া, কেহ হাসির লহর তুলিয়b কেহ ধীর, কেহ ক্ষিপ্র, কেহ স্বাক্ষর, অপূর্ব গতি-ভদিতে, সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠতেছেন। অপু অনেকক্ষপ হইতে নীচের বারান্দায় একটা থামের কাছে দাড়াইয়া দেখিতেছিল। এ ধরণের দৃপ্ত জীবনে সে এই প্রথম দেখিল, সেদিন বিবাহের রাজিতে ঘুমাইয়া পড়িবার দরুণ সে বিশেষ কিছু দেখে নাই। সকলের চেয়ে তাহার ভাল লাগিতেছিল এ বাড়ীর মেয়ে হুজাতাকে । সে কার্পেটমোড়া মার্কেল পাথরের সিড়ি বাহিয়া এক একবার নামিয়া আসিতেছে, sts