পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলিয়াছে’- “সে আর ম-এ পথে একা কখনো আসে নাই, পথ সে চিনিতে পারিতেছে না-ও কাস্তুে-হাতে-কাকা, শুনচো, নিশ্চিন্দিপুরের পথটা এট, ব’লে দ্যাও না। আমাদের ? যশড়া-নিশ্চিন্দিপুর, বোত্রাবতীর ওপারে ? তাহার মা ঘরে ঢুকিয়া বলিল-হ্যারে, ওঠ, ও অপু, বেলা যে আর নেই, বললি ষে কোথায় খেলতে যাবি ? ওঠৰ-ওঠ । সে মায়ের ডাকে ধড়মড় করিয়া বিছানার উপর উঠিয়া বসিয়া চারদিকে চাহিল—উঃ কি বেলাই গিয়াছে ! --রোদ একেবারে কোথায় উঠিয়া গিয়াছে ! BDBuDB D BDDDYDDD BBB BBB DBBBDS DDDS DDLD S BD BBB S অবেলায় প’ডে প’ড়ে কি ঘুমটাই দিলি ? দেবো তোর সেই বঁাশিটা বের করে ? তোরঙ্গ হইতে বাহির করিয়া বঁাশিটা মা বিছানার কোণে রাখিয়া দিল বটে, সে কিন্তু রেফারীগিরি করিতে যাওয়ার কোন উৎসাহ দেখাইল না। ঘরের ভিতর এরই মধ্যে অন্ধকার। উঠিয়া আসিয়া জানালার কাছে অন্যমনস্কভাবে চুপ করিয়া দাড়াইয়া বাহিরের দিকে চাহিয়া রহিল। বেলা একেবারে নাই। কি অসহ্য গুমোট ! আস্তাবলের ড়েনের গন্ধটা যেন আরও বাড়িয়াছে । ফটকের পেটাঘাডিতে ঠং ঠেং করিয়া বোধ হয় ছটা বাজাইতেছে। ওই আস্তাবলের মাথায় যে আকাশটা, ওরই ওপারে। পূবদিকে বহুদূরে তাহাদের নিশ্চিন্দিপুর। আজ কতদিন সে নিশ্চিন্দিপুর দেখে নাই। তি-ন বৎসর। কতকাল! সে জানে নিশ্চিন্দিপুর তাহাকে দিনে রাতে সব সময় ডাকে, শাঁখারীপুকুর ডাক দেয়, বঁাশবনটা ডাক দেয়, সোনাডাঙার মাঠ ডাক দেয়, কদমতলার সায়েরের ঘাট ডাক দেয়, দেবী বিশালাক্ষী ডাক দেন । পোডো ভিটার মিষ্ট লেবু-ফুলের গন্ধে সজ, নেতলার ছায়ায় ছায়ায় আবার কবে গতিবিধি ? আবার কবে তাহাদের বাড়ীর ধারের শিরীষ সোদালি বনে পাখীর ডাক ? এতদিন তাহদের সেখানে ইছামতীতে বর্ষার ঢল নামিয়াছে। ঘাটের পথে শিমুলতলায় জল উঠিয়াছে। ঝোপে ঝোপে নাটা-কঁটা, বনকলমীর ফুল ধরিয়াছে। বন-অপরাজিতার নীল ফুলে বনের মাথা ছাওয়া । তাহাদের গ্রামের ঘাটটাতে কুঁচ-কোপের পাশে রাকুকাকা হয়তো এতক্ষণ তাহার অভ্যাসমত অবেলায় স্নান করিতে নামিয়াছে, চালিতে-পোতার বঁাকে । নতুন কষাড় বনের ধারে ধারে অন্ধুর মাঝি মাছ ধরিবার দোয়াড়ী পাতিতেছে, ቅግሆ