পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ সেখানকার হাট-বার, ঠাকুরুবি-পুকুরের সেই বটগাছটার পিছনে দিগন্তের কোলে রাঙা আগুনের ফেনার মত সূর্য অন্ত যাইতেছে, আর তাহারই তালাকার মেঠোপথ বাহিয়া গ্রামের ছেলে পটু, নীলু, তিনু, ভোলা সব হাট করিয়া fesco LLBDBK DBDB DBBSBBB DDDD DDBD D B BBDD আসিতেছে, কিচ কিচ করিয়া পাখী ডাকিতেছে, সেই মিষ্ট, নিঃশব্দ, শান্ত বৈকাল-সেই হলদে পাখীটা আজও আসিয়া পাচিলের উপরের কঞ্চির ডালটাতে সেই রকমই বসে, মায়ের হাতে পোতা লেবু চারাটাতে হয়তো এতদিন লেবু ফলিতেছে" আরো কিছুক্ষণ পরে তাহদের সে ভিটায় সন্ধ্যার অন্ধকার হইয়া যাইবে, কিন্তু সে সন্ধ্যায়। সেখানে কেহ সঁাজ জালিবে না, প্রদীপ দেখাইবে না, রূপকথা বলিবে না। জনহীন ভিটার উঠান-ভরা কালমেঘের জঙ্গলে কি কি পোকা ডাকিবে, গভীর রাত্রে পিছনের ঘন বনে জগ ডুমুর গাছে লক্ষ্মীপেঁচার রব শোনা যাইবে । -- কেহ কোন দিন সেদিক মাড়াইবে না, গভীর জঙ্গলে চাপা-পড়া মায়ের সে লেবুগাছটার সন্ধান কেহ কোনদিন জানিবে না, ওড়কলমীর ফুল ফুটিয়া আপনা-আপনি ঝরিয়া পড়িবে, কুল, নোনা মিথ্যাই পাকিবে, হলদে ডান, তোডো পাখীটা কঁাদিয়া কঁাদিয়া ফিরিবে । বনের ধারে সে অপূর্ব মায়াময় বৈকালগুলি মিছামিছিই নামিবে চিরদিন । ওবেলা এক উঠান লোকের সম্মুখে বিনা বিচারে মারা খাইয়াও তাহার চোখ DD SDB BB D DB BB DDSDD sODEB DB BBB DBDDDuD এক-একা দাড়াইয়া হঠাৎ সে কঁাদিয়া আকুল হইল, উচ্ছসিত চোখের জল ঝর ঝর করিয়া পড়িয়া তাহার সুন্দর কপোল ভাসাইয়া দিতেই চোখ মুছিতে হাত উঠাইয়া আকুল সুরে মনে মনে বলিল-আমাদের যেন নিশ্চিন্দিপুর ফেরা হয়। —ভগবান—তুমি এই কোরো, ঠিক যেন নিশ্চিন্দিপুর যাওয়া হয়-নৈলে বঁাচুবো না-পায়ে পড়ি তোমার পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন-মুখ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামে বঁাশের বনে, ঠ্যাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায়, কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায় ! তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বোত্রাবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে: “দেশ ছেড়ে দেশান্তরের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সুর্যান্তের দিকে, জানার গঞ্জী এড়িয়ে