পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতে যাইতেছিল যে উচু জায়গাটা একটা ভালুক, নিচুটা জলের চৌবাচ্চা, BB BD uu DBDBD DDD S DBB DB DDDYiDBDDDBD DBDB00SS BD গিয়ে কমলালেবু খাবো । মনের সুখে শহরে-শেখা গানের একটা চরণ সে গুন গুন করিয়া ধরিল- م সাগর কুলে বসিয়া বিরলে হেরিব লহরী মালাঅনেকদিনের স্বপ্ন যেন আবার ফিরিয়া আসে। নিশ্চিন্দিপুরে থাকিত ইচ্ছামতীর তীরের বনে, মাঠে কত ধূসর অপরাহ্নের, কত জ্যোৎস্না-রাতের সে সব স্বপ্ন ! এই ছোট্ট চাষাগায়ে চিরকালই এ রকম ষষ্ঠীপূজা, মাকালীপূজা করিয়া কাটাইতে হইবে ? সারাদিনের রোদো-পোড়া মাটি নৈশ শিশিরে স্নিগ্ধ হইয়া আসিয়াছে, এখন শীতের রাতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় তাহারই সুগন্ধ। অপুর মনে হইল রেলগাড়ির চাকায় চাকায় যেমন শব্দ হয়-ছোটুঠাকুরEBLLYDDDBBDBSBDLYSDDBDBELYDDDDBSBDSzYS দুই-এক দিনের মধ্যে সে মায়ের কাছে কথাটা আবার তুলিল। একবার শুধু তোলা নয়, নিতান্ত নাছোড়বান্দা হইয়া পড়িল । আড়বোয়ালের স্কুল দুই ক্রোশ দূরে, তাই কি ? সে খুব হাটিতে পারিবে এটুকু। সে বুঝি চিরকাল এই রকম চাষাগায়ে বসিয়া বসিয়া ঠাকুরপূজা করিবে ? বাহিরে যাইতে পরিবে না বুঝি ! তবু আরও মাস দুই কাটিল । স্কলের পড়াশোনা সর্বজয়া বোঝে না, সে যাহা বোঝে তাহ পাইয়াছে। তবে আবার ইস্কলে পড়িয়া কি লাভ ? বেশ তো সংসার গুছাইয়া উঠিতেছে । আর বছর কয়েক পরে ছেলের বিবাহতারপরই একঘর মানুষের মত মানুষ । সবজয়ার স্বপ্ন সার্থক হইয়াছে । কিন্তু অপুর তাহা হয় নাই। তাহাকে ধরিয়া রাখা গেল না-শ্রাবণের প্রথমে সে আড়বোয়ালের মাইনর স্কুলে ভতি হইয়া যাতায়াত শুরু করিল। এই পথের কথা সে জীবনে কোনোদিন ভোলে নাই--এই একটি বৎসর ধরিয়া কি অপরূপ আনন্দই পাইয়াছিল-প্রতিদিন সকালে-বিকালে এই পথ হাটবার সময়টাতে ৷-“নিশ্চিন্দিপুর ছাড়িয়া অবধি এত আনন্দ আর হয় নাই। ক্রোশ দুই পথ। দুধারে বট, তুতের ছায়া, ঝোপঝাপ, মাঠ, মাঝে মাঝে অনেকখানি কঁকা আকাশ। স্কলে বসিয়া অপুর মনে হইত। সে যেন একা। কত দূর বিদেশে আসিয়াছে, মন চঞ্চল হইয়া উঠিত—দুটির পরে নির্জন পথে R