পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঁকোর নীচে আমরুল শাকের বনের ধারে একটু একটু জল বাধিয়াছে, মুখ বাড়াইলে জলে ছায়া পড়ে। অপুর কেমন একটা অস্পষ্ট ভিত্তিহীন ধারণা আছে যে, জলটা মাছে ভাতি, তাই সে একটু একটু রুটির টুকরা উপর হইতে ফেলিয়া দিয়া মুখ বাড়াইয়া দেখে মাছ ঠোকুরাইতেছে কি না। সঁকোর নীচের জলে হাত মুখ ধুইতে নামিতে গিয়া হঠাৎ তাহার চোখ পড়িল একজন ঝাঁকড়া চুল কালো-মৃত লোক রাস্তার ধারের মাঠে নামিয়া লতা-কাঠি কুড়াইতেছে। অপু কৌতুহলী হইয়া চাহিয়া রহিল। লোকটা খুব লম্বা নয়, বেঁটে ধরণের, শক্ত হাত পা, পিঠে একগাছা বড় ধনুক, একটা বড় দোচকা, মাথায় চুল লম্বা লম্বা, গলায় রাঙা ও সবুজ হিংলাজের মালা। সে অত্যন্ত কৌতুহলী হইয়া ডাকিয়া বলিল, ওখানে কি খুঁজচো। পরে লোকটির সঙ্গে তাহার আলাপ হইল। সে জাতিতে সঁওতাল, অনেক দূরে কোথায় দুমকা জেলা আছে, সেখানে বাড়ি। অনেক দিন বর্ধমানে ছিল, বঁকা বঁকা বাংলা বলে, পায়ে হঁটিয়া সেখান হইতে আসিতেছে । গন্তব্য স্থান অনিৰ্দেশ্যএরূপে যতদূর যাওয়া যায়। যাইবে, সঙ্গে তীর ধনুক আছে, পথের ধারে বনে মাঠে যাহা শিকার মেলে-তাহাই খায় । সম্প্রতি একটা কি পাখি মারিয়াছে, মাঠের কোন ক্ষেত হইতে গোটা কয়েক বড় বড় বেগুনও তুলিয়াছে—তাহাই পুড়াইয়া খাইবার যোগাড়ে শুকৃনো লতা-কাঠি কুড়াইতেছে। অপু বলিল, কি পাখি দেখি ? লোকটা ঝোলা হইতে বাহির করিয়া দেখাইল একটা বড় হরিয়াল ঘুঘু। সত্যিকারের তীর ধনুক-যাহাতে সত্যিকারের শিকার সম্ভব হয়--অপু কখনও দেখে নাই। বলিল, দেখি একগাছা তীর তোমার ? পরে হাতে লইয়া দেখিল, মুখে শক্ত লোহার ফলা, পিছনে বুনো পাখির পালক বাধা-অদ্ভুত কৌতুহলপ্রদ ও মুগ্ধকর জিনিস - -আচ্ছা এতে পাখি মরে, আর কি মরে ? লোকটা উত্তর দিল, সবই মারা যায়-খরগোস, শিয়াল, বেজী, এমন কি বাঘ পর্যন্ত। তবে বাঘ মারিবার সময় তীরের ফলায় অন্য একটা লতার রস মাখাইয়া লইতে হয়।--তাহার পর সে তুতি গাছতলায় শুকুনা পাত-লতার BiBDBDB BDD S BBB B BBD BD DDDBDBD DB DBDD DJYiD DDDB দাড়াইয়া দেখিতে লাগিল, লোকটা পাখিটার পালক ছাড়াইয়া আগুনে ঝলসাইতে দিল, বেগুনগুলাও পুড়াইতে দিল । বেলা অত্যন্ত পড়িলে অপু বাড়ি রওনা হইল। আহার শেষ করিয়া BD LDBDB BDB BDDB LO uBu DBBD DBDD LLDB DDDBBuSS St DDB মানুষ, সে তো কখনো দেখে নাই । বাক-শষেদিকে দুই চোখ যায় সেদিকে Wes- Re Rt