স্কলারশিপ পেইচি। বড় স্থলে পড়লে মাসে পাঁচ টাকা ক’রে পাবো। স্কুলে যেতেই হেডমাস্টার ডেকে বললে সর্বজয়ার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল। ছেলের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, ” কোথায় পড়তে হবে ? --মহকুমার বড় স্কলে । --তা তুই কি বললি ? --আমি কিছু বলি নি। পাঁচটা করে টাকা মাসে মাসে দেবে, যদি না। পন্ডি তবে তো আর দেবে না। ওতে মাইনেও ফ্রি করে নেবে। আর ওই পাঁচ টাকাতে বোর্ডিং-এ থাকবার খরচও কুলিয়ে যাবে। সর্বজয়া আর কোন কথা বলিল না। কি কথা সে বলিবে ? যুক্তি এতই অকাট্য যে তাহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিবার কিছুই নাই। ছেলে স্কলারশিপ পাইয়াছে, শহরে পন্ডিতে যাইবে, ইহাতে মা-বাপের ছেলেকে বাধা দিয়া বাডি পসাইয়া রাখিবার পদ্ধতি কোথায় চলিত আছে ? এ যেন তাহার বিরুদ্ধে কোন দণ্ডী তার নির্মম অকাট্য দণ্ড উঠাইয়াছে, তাহার দুর্বল হাতের সাধ্য নাই যে ঠেকাইয়া রাখে। ছেলেও ঐদিকে ঝুকিয়াছে ! আজিকার দিনটিই যেন কার মুখ দেখিয়া উঠিয়াছিল সে। ভবিষ্যতের সহস্ৰ সুখস্বপ্ন কুয়াসাবা মত অনন্থে বিলীন হইয়া যাইতেছে কেন আজকার দিনটিতে বিশেষ করিয়া ? মাসখানেক পরে বৃত্তি পাওয়ার খবর কাগজে পাওয়া গেল। যাইবার পূর্বদিন বৈকালে সর্বজয়া ব্যস্তভাবে ছেলের জিনিসপত্র গুছাইয়া দিতে লাগিল । ছেলে কখনও এক বিদেশে বাহির হয় নাই, নিতান্ত আনাড়ী, ছেলে-মানুষ ছেলে । কত জিনিসের দরকার হইবে, কে থাকিবে তখন সেখানে ষে মুখে মুখে সব অভাব যোগাইয়া ফিরিবে, সব জিনিস হাতে লইয়া বসিয়া থাকিবে ? খুঁটিনাটি-একখানা কঁথা পাতিবার, একখানি গায়ের-একটি জল খাইবার গ্লাস, ঘরের তৈরী এক শিশি সরের ঘি, এক পুটুলি নারিকেল নাডু, অপু ফুলকাটা একটা মাঝারি জামবাটিতে দুধ খাইতে ভালবাসে-সেই বাটিটা, ছোট একটা বোতলে মাখিবার চৈ-মিশানো নারিকেল তৈল, আরও কত কি। অপুর মাথার বালিশের পুরানো ওয়াড় বদলাঈয়া নৃতন ওয়াড় পরাইয়া দিল। BDDDu DBBDDDD DDD sBDBS SuD zuBBDukk YuBBu tBuBB S ছেলেকে কি করিয়া বিদেশে চলিতে হইবে সে বিষয়ে সহস্ৰ উপদেশ দিয়াও তাহার মনে তৃপ্তি হইতেছিল না। ভাবিয়া দেখিয়া মোট বাদ দিয়াছে মনে হয় সেটি তখনি আবার ডাকিয়া ৰলিয়া দিতেছিল। Y
পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।