পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসিলে মন্দ হইত না-সারা শনিবারের বৈকালটা কেমন খালি কঁকা ফাকা ঠেকিতেছিল । সন্ধ্যার সময় সে ঘরে আসিয়া আলো জালিল। ঘরে সে এক, সমীর বাডি চলিয়া গিয়াছে, এ রকম চুণকাম কৰুণ ঘরে একা থাকিবার সৌভাগ্য কখনও তাহার হয় নাই, সে খুশী হইয়া খানিকক্ষণ চুপ করিয়া নিজের খাটে বসিয়া রহিল । মনে মনে ভাবিল, এইবার সমীরের মত একটা টেবিল আমার হয় ? একটা টেবিলের দাম কত, সমীরকে জিজ্ঞাসা করবো । পরে সে আলোটা লইয়া গিয়া সমীরের টেবিলে পড়িতে বসিল । রুটিনে লেখা আছে--সোমবারে পাটীগণিতের দিন । অঙ্ককে সে বাঘ বিবেচনা করে । বইখানা খুলিয়া সভয়ে প্রশ্নাবলীর অঙ্ক কয়েকটি দেখিতেছে, এমন সময় দরজা দিয়া ঘরে কে ঢুকিল। কাল রাত্রের সেই শান্ত ছেলেটি ? অপু বলিলএসে এসে ব’সে । ছেলেটি বলিল, আপনি বাড়ি যান নি ? অপু বলিল, না, আমি তো মোটে পরশু এলাম, বাড়িও দূরে। গিয়ে আবার (मांभांड़ अॉन घांस भाँ ! ছেলেটি অপুর মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। অপু বলিল-বোর্ডিং-এ যে আজ একেবারেই ছেলে নেই, সব শনিবারেই কি এমনই হয় ? তুমি বাড়ি যাও নি কেন ? তোমার নামটা কি জানি নে ভাই । SSYJBBB DBBDYSSiDBBBDD DB BBB u S BD BBDDD DDD D DDBDT ক’রে ? সেকেন মাস্টার ছুটি দিলে না। ছুটি চাইতে গেলাম, বললে, আর শনিবারে গেলে আবার এ শনিবারে কি ? হবে না, যাও। তাহার পর সে বসিয়া বসিয়া অনেকক্ষণ গল্প করিল। তাহার বাড়ি শহর হইতে মাইল বারো দূরে, ট্রেনে যাইতে হয়। সে শনিবারে বাড়ি না গিয়া থাকিতে পারে না, মন হাপাইয়া উঠে, অথচ সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ছুটি দিতে চায় না। তাহার কথাবার্তার ধরণে অপু বুঝিতে পারিল যে, বাড়ি না। যাইতে পারিয়া মন আজ খুবই খারাপ, অনবরত বাড়ির কথা ছাড়া অন্য কথা সে বড় একটা বলিল না। দেবব্রত খানিকটা বসিয়া থাকিয়া অপুর বালিশটা টানিয়া লইয়া শুইয়া পড়িল। অনেকটা আপন মনে বলিল, সামনের শনিবারে চুটি দিতেই হবে, সেকেন মাস্টার না দেয়, হেডমাস্টারের কাছে গিয়ে বলবো । অপু এ ধরণের দূর প্রবাসে এক রাত্রিবাস করিতে আদৌ অভ্যন্ত নয়, চিরকাল মা-বাপের কাছে কাটাইয়াছে, আজকার য়াৰিটা তাহার সম্পূর্ণ উদাস ও নিঃসঙ্গ ঠেকিতেছিল।