পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার মনে হয়। অপুর মুখ সে একেবারে ভুলিয়া গিয়াছে। যতই জোর করিয়া মনে আনিবার চেষ্টা করে ততই সে মুখ অস্পষ্ট হইয়া যায়-অপুর মুখের আদালটা আনিলেও ঠোঁটের ভঙ্গিটা ঠিক মনে পডে না, চোখের চাহনিটা মনে পডে না-সর্বজয়া একেবারে পাগলের মত হইয়া ওঠে-অপুর, তাহার অপুর মখ সে ভুলিয়া যাইতেছে ! কেবলই অপুর ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। অপু কথা বলিতে জানিত না, কোন কথার কি মানে হয় বুঝিত না। মনে আছে--নিশ্চিন্দিপুরের পাড়িতে থাকিতে একবার রান্নাবাডির দাওয়ায় কঁঠাল ভাঙিয়া ছেলেমেয়েকে দিতেছিল। দুৰ্গা বাটি পাতিয়া আগ্রহের সহিত কঁঠাল-ভাঙা দেখিতেছে, অপু দুর্গার বাটটা দেখাইয়া হাসিমুখে বলিয়া উঠিল-দিদি কঁঠালের বড় প্রভু, না মা ? সঁর্বজয়া প্রথমটা বুঝিতে পারে নাই, শেষে বুঝিয়াছিল, ‘দিদি। কঁঠালের বড় ভক্ত' এ কথাটি বুঝাইতে ‘ভক্ত’ কথাটার স্থানে ‘প্রভু’ ব্যবহার কবিয়াছে। তখন অপুব বয়স নয় বৎসরের কম নয়। অথচ তখনও সে কাজেকথায় নিতান্ত ছেলেমানুষ । একবার নতুন পরণের কাপড় কোথা হইতে ছিাড়িয়া আসিবার জন্য অপু মারা খাইয়াছিল। কতদিনের কথা, তবুও ঠিক মনে আছে। হাড়িতে আমসত্ত্ব কুলচুর রাখিবার জো ছিল না, অপু কোন ফাকে ঢাকনি খুলিয়া চুরি করিয়া পাইবেই। এই অবস্থায় একদিন ধরা পড়িয়া যায়, তখনকার সেই ভয়ে ছোটহইয়া যাওয়া রাঙা মুখখানি মনে পড়ে। বিদেশে একা কত কষ্টই হইতেছে, /ােক তাহাকে সেখানে বুঝিতেছে! আর একদিনের কথা সে কখনো ভুলিবে না। অপুর বয়স যখন তিন বৎসর, তখন সে একবার হারাইয়া যায়। খানিকটা আগে সম্মুখের উঠানের কঁঠালতুলায় বসিয়া খেলা করিতে তাহাকে দেখা গিয়াছে, ইহারই মধ্যে কোথায় SSDBD JYKDBDBD BDBBDLD DBDDBDB DDS BBBD DLBBBD DDYuBBB খুজিয়া কোথাও অপুকে পাইল না। সর্বজয়া কঁাদিয়া আকুল হইল-কিন্তু যখন হরিহর বাড়ির পাশের বঁাশতলার ডোবাটা খুঁজিবার জন্য ও-পাড়া হইতে জেলেদের ডাকিয়া আনাইল, তখন তাহার। আর কান্নাকাটি রহিল না। সে কেমন কাঠের মত হইয়া ডোবার পাড়ে দাড়াইয়া জেলেদের জাল-ফেলা দেখিতে লাগিল। পাড়াশুদ্ধ লোক ভাঙিয়া পড়িয়াছিল-ডোবার পারে। অনুকুর জেলে টানাজালের বঁাধন খুলিতেছিল, সর্বজয়া ভাবিল অক্রুর মাঝিকে চিরকাল সে নিরীহ বলিয়া জানে, ভাল মানুষের মত কতবার মাছ বেচিয়া গিয়াছে তাহদের * বাড়ি—সে সাক্ষাৎ ঘমের বাহন হইয়া আসিল কি করিয়া ? শুধু অন্ধুর মাঝি অপু-২২ t