পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়, সবাই যেন যমদূত, অন্য অন্য লোকেরা, যাহারা মজা দেখিতে ছুটিয়াছে, তাহারা-এমন কি তাহার স্বামী পর্যন্ত। সে-ই তো গিয়া ইহাঙ্গের ডাকিয়া আনিয়াছে। সর্বজয়ার মনে হইতেছিল যে, ইহারা সকলে মিলিয়া তাহার বিরুদ্ধে ভিতরে ভিতরে কি একটা ষড়যন্ত্র আঁটিয়াছে।-কোন হৃদয়হীন নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র। ঠিক সেই সময়ে দুৰ্গা অপুকে খুজিয়া আনিয়া হাজির করিল। অপু নাকি নদীর ধারের পথ দিয়া হন হন করিয়া হাটিয়া একা একা সোনাডাঙার মাঠের দিকে যাইতেছিল, অনেকখানি চলিয়া গিয়াছিল। তাহার পর ফিরিতে গিয়া বোধহয় পথ চিনিতে পারে নাই । বাড়ির কঁঠালতলায় বসিয়া খেলা করিতে করিতে কখন কোন কঁাকে বাহির হইয়া গিয়াছে, কেহ জানে না। যখন সকলে যে যাহার বাড়ী চলিয়া গেল, তখন সৰ্বজয়া স্বামীকে বলিল -এ ছেলে কোনদিন সংসারী হবে না, দেখে নিও হরিহর, বলিল-কেন ?• • •তা ও-রকম হয়, ছেলেমানুষে গিয়েই থাকেসর্বজয়া বলিল-তুমি পাগল হয়েছি!" -তিন বছর বয়সে অন্য ছেলে বাডির বাইরে পা দেয় না, আর ও কিনা গা ছেড়ে, মাঠ ভেঙ্গে গিয়েছে সেই সোনাডাঙার মাঠের রাস্তায়। তাও ফেরবার নাম নেই-হন হন ক’রে হেঁটেষ্ট চলেছে । কখখনো সংসারে মন দেবে না, তোমাকে ব’লে দিলাম-এ আমার কপালেই লেখা আছে ! কত কথা সব মনে পড়ে-নিশ্চিন্দিপুরের বাড়ির কথা, দুর্গার কথা। এ জায়গা ভাল লাগে না, এখন মনে হয়, আবার যদি নিশ্চিন্দিপুরে ফিরিয়া যাওয়া সম্ভব হইত ! একদিন যে-নিশ্চিন্দিপুর ছাড়িয়া আসিতে উৎসাহের অবধি ছিল না, এখন তাহাই যেন রূপকথার রাজ্যের মত সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপরকার ধরা-ছোয়ার বাহিরের জিনিস হইয়া পড়িয়াছে । ভাবিতে ভাবিতে প্রথম বসন্তের পুষ্পসুবাস্যমধুর বৈকাল বহিয়া যায়, অলস অন্ত-আকাশে। কত রং ফুটিয়া আবার মিলাইয়া যায়, গাছপালায় পাখি ডাকে। এ রকম একদিন নয়, কতদিন হইয়াছে। কোন কিছু ভালমন্দ জিনিস পাইলেই সেটুকু সর্বজয়া ছেলের জন্য তুলিয়া রাখে। কুণ্ডুদের বাড়ির বিবাহের তত্ত্বে সন্দেশ আসিলে সর্বজয়া প্রাণ ধরিয়া তাহার একটা খাইতে পারে নাই। ছেলের জন্য তুলিয়া রাখিয়া রাখিয়া অবশেষে যখন হাড়ির ভিতর পচিয়া উঠিল তখন ফেলিয়া দিতে হইল। পৌষ-পার্বণের সময় হয়ত অপু বাড়ি আসিবে, পিঠে খাইতে ভালবাসে, নিশ্চয় আসিবে। BDB DBBD DBD BD DBDBDBDD D BDBBB tttB DDD DDiYS কোথায় অপু ? Cyr