পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंडियांद्ध बांgि আসিবার সময় সে মায়ের যৎসামান্য আয় হইতে DD DBDB LBD DDBB DBBDYSDD D DBD DBB BB BBS অভিমান করে, সর্বজয়াকে দিতেই হয়। ইহার মধ্যে আবার পটু মাঝে মাঝে আসিয়া ভাগ বসাইয়া থাকে। সে কিছুই সুবিধা করিতে পারে নাই পড়াশুনার। নানাস্থানে ঘুরিয়াছে, ভগ্নীপতি অজুন চক্রবর্তী তো তাহাকে বাড়ি ঢুকিতে দেয় না। বিনিকে এ সব লইয়া কম গঞ্জনা সহ্য করিতে হয় নাই বা কম চোখের জল ফেলিতে হয় নাই ; কিন্তু শেষ পর্যন্ত পটু নিরাশ্রয় ও নিরবলিঙ্ক অবস্থায় পথে পথেই ঘোরে, যদিও পড়াশুনার আশা সে এখনও অবধি ছাড়ে নাই। অপু তাহার জন্য অনেক চেষ্টা করিয়াছে, কিন্তু সুবিধা করিতে পারে নাই। দু’তিন মাস হয়ত দেখা নাই, হঠাৎ একদিন কোথা হইতে পুটলি বগলে করিয়া আসিয়া হাজির হয়, অপু তাহাকে যত্ন করিয়া রাখে, তিন-চারদিন ছাড়ে না, সে না চাহিলেও যখন যাহা পারে হাতে গুজিয়া দেয়-টাকা পারে না, সিকিটা, দুয়ানিটা । পটু নিশ্চিন্দিপুরে আর যায় না।--তাহার বাবা সম্প্রতি মারা গিয়াছেন-সৎমা দেশের বাড়িতে র্তাহার দুই মেয়ে লইয়া থাকেন, সেখানে ভাই বোন কেহই আর যায় না। পটকে দেখিল অপুর ভারি একটা সহানুভূতি হয়, কিন্তু ভাল করিবার তাহার হাতে আর কি ক্ষমতা আছে ? একদিন রাসবিহারী আসিয়া দু’আনা পয়সা ধার চাহিল। রাসবিহারী গরীবের ছেলে, তাহা ছাড়া পড়াশুনায় ভাল নয় বলিয়া বোডিং-এ খাতিরও পায় না। অপুকে সবাই দলে নেয়, পয়সা দিতে না পারিলেও নেয়। কিন্তু তাহাকে পৌছেও না। অপু এ সব জানিত বলিয়াই তাহার উপর কেমন একটা করুণা। কিন্তু আজ সে নানা কারণে রাসবিহারীর প্রতি সন্তুষ্টই ছিল না। বলিল, আমি কোথায় পাবো পয়সা ? আমি কি টাকার গাছ ?--দিতে পারবো। না। যাও।--রাসবিহারী পীড়াপীড়ি শুরু করিল। কিন্তু অপু একেবারে বঁাকিয়া বসিল ।-বলিল, কখনো দেবো না তোমায়-যা পারো করে । রমাপতির কাছে ছেলেদের একখানা মাসিক পত্র আসে তাহাতে সে একদিন ‘ছায়াপথ’ সম্বন্ধে একটা প্রবন্ধ পড়িল । ‘ছায়াপথ’ কাহাকে বলে ইহার আগে জানিত না-এতবড় বিশাল কোন জিনিসের ধারণাও কখনো করে নাই--- নক্ষত্রের সম্বন্ধেও কিছু জানা ছিল না। শরতের আকাশ রাত্রে মেঘমুক্তবোর্ডিং-এর পিছনে খেলার কম্পাউণ্ডে রাত্রে দাড়াইয়া ছায়াপথটা প্রথম দেখিয়া সে কী আনন্দ । জলজলে সাদা ছায়াপথটা কালো আকাশের বুক চিরিয়া কোথা হইতে কোথায় গিয়াছে শুধু নক্ষত্রে ভর •••