পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBDBD DD BBDD DBDBD S BDBBD SDDuD YK BBBS বিলাতযাত্রীর চিঠির মধ্যে পঠিত আনন্দভরা পুরাতন পথ বাহিয়া মরুভূমির পার্থের সুয়েজ খালের ভিতর দিয়া, নীল ভূমধ্যসাগরমধ্যস্থ দ্রাক্ষাকুঞ্জ-বেষ্টিত কাসিক দূরে ফেলিয়া সেই মধুর স্বপ্নমাখা পথ-যাত্রা । এই লোকটা সেখানে গিয়াছিল ? এই নিতান্ত সাধারণ ধরণের মানুষটা --যে দিব্য নিরীহ মুখে রান্নাঘরের দাওয়ায় বসিয়া মোচার ঘণ্ট দিয়া ভাত খাইতেছে । দু’এক দিনেই নির্মলার মামা অমরবাবুর সহিত তাহার খুব আলাপ হইয়া গেল । বিলাতের কত কথা সে জানিতে চায়। পথের ধারে সেখানে কি সব গাছপালা ? আমাদের দেশের পরিচিত কোন গাছ সেখানে আছে ? প্যারিস খুব বড় শহর ? অমরবাবু নেপোলিয়নের সমাধি দেখিয়াছেন ? ডোভারের খডির পাহাড ? ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নাকি নানা অদ্ভুত জিনিস আছে--কি কি ? আর ভেনিস ?-ইতালির আকাশ নাকি দেখিতে অপূর্ব ? পাড়াগায়ের স্কলের ছেলে, এত সব কথা জানিবার কৌতুহল হইল কি করিয়া অমরবাবু বুঝিতে পারেন না। এত আগ্রহ করিয়া শুনিবার মত জিনিস সেখানে কি আর আছে! একঘেয়ে-ধোয়া-বৃষ্টি-শীত । তিনি পয়সা খরচ করিয়া সেখানে গিয়াছিলেন সাবান-প্রস্তুত প্রণালী শিখিবার জন্য, পথের ধাবের গাছপালা দেখিতে যান নাই বা ইতালির আকাশের রং লক্ষ্য করিয়া দেখিবার উপযুক্ত সময়ের প্রাচুর্যও তার ছিল না। নির্মলাকে অপুর ভাল লাগে, কিন্তু সে তাহা দেখাইতে জানে না । পরের বাড়ি বলিয়াই হউক, বা একটু লাজুক প্রকৃতির বলিয়াই হউক, সে বাহিরের ঘরে শাস্তভাবে বাস করে---কি তাহার অভাব, কোনটা তাহার দরকার, সে কথা কাহাকেও জানায় না । অপুর এই উদাসীনতা নিৰ্মলার বড় বাজে, তবুও সে না চাহিতেই নিৰ্মলা তাহার ময়লা বালিশের ওয়াড় সাবান দিয়া নিজে কাচিয়া দিয়া যায়, গামছা পরিষ্কার করিয়া দেয়, ছেড়া কাপড় বাড়ির মধ্যে লইয়া গিয়া মাকে দিয়া সেলাইয়ের কলে সেলাই করিয়া আনিয়া দেয়। নিৰ্মলা চায়। অপূর্ব-দাদা তাহাকে ফাই ফরমাশ করে, তাহার প্রতি হুকুমজারি করে ; কিন্তু অপু কাহারও উপর কোন হুকুম কোনোদিন করিতে জানে না-এক মা ছাড়া । দিদি ও মায়ের সেবায় সে অভ্যন্ত বটে, তাও সে সেবা অষাচিত ভাবে পাওয়া যাইত তাই। নইলে অপু কখনও হুকুম করিয়া সেবা আদায় করিতে শিখে নাই । * তা ছাড়া সে সমাজের ষে স্তরের মধ্যে মানুষ, ডেপুটিবাবুরা t