সেখানকার চোখে ব্রহ্মলোকবাসী দেবতার সমকক্ষ জীব। নির্মলা ডেপুটিবাবুৱা বড় মেয়ে-রূপে, বেশভূষায়, পড়াশুনায়, কথাবার্তায় একমাত্র লীলা ছাড়া সে এ পর্যন্ত যত মেয়ের সংস্পর্শে আসিয়াছো-সকলের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে কি করিয়া নিৰ্মলার উপর হুকুম জারি করিবে ? নির্মলা তাহা বোঝে না-সে দাদা বলিয়া ডাকে, অপুর প্রতি একটা আন্তরিক টানের পরিচয় তাহার প্রতি কাজে-কেন অপূর্ব-দাদা তাহাকে প্রাণপণে খাটাইয়া লয় না, নিষ্ঠুরভাবে অযথা ফাই-ফরমাস করে না ? তাহা হইলে সে খুশী হইত। চৈত্র মাসের শেষে একদিন ফুটবল খেলিতে খেলিতে অপুর হাটুটা কি ভাবে মচ কাইয়া গিয়া সে মাঠে পড়িয়া গেল। সঙ্গীরা তাহাকে ধরাধরি করিয়া আনিয়া ডেপুটিবাবুর বাসায় দিয়া গেল। নির্মলার মা ব্যস্ত হইয়া বাহিরের ঘরে আসিলেন, কাছে গিয়া বলিলেন-দেখি দেখি, কি হয়েছে ? অপুর উজ্জল গৌরবর্ণ সুন্দর মুখ ঘামে ও যন্ত্রণায় রাঙা হইয়া গিয়াছে, ডান পা-খানা সোজা করিতে পারিতেছে না । মনিয়া চাকর নির্মলার মা’র স্লিপ লষ্টয়া ডাক্তারখানায় ছুটিল। নির্মলা বাড়ি ছিল না, ভাইবোনদের লইয়া গাড়ি করিয়া মুন্সেফ'বাবুর বাসায় বেড়াইতে গিয়াছিল। একটু পরে সরকারী ডাক্তার আসিয়া দেখিয়া শুনিয়া ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া গেলেন। সন্ধ্যার আগে নিৰ্মলা আসিল । সব শুনিয়া বাহিরের ঘরে আসিয়া বলিল-কই দেখি, বেশ হয়েছেদস্তিবৃত্তি করার ফল হবে না ? ভারী খুশী হয়েছি আমি নির্মলা কিছু না বলিয়া চলিয়া গেল। অপু মনে মনে ক্ষুন্ন হইয়া ভাবিলযাক না, আর কখনও যদি কথা কই-- আধা ঘণ্টা পরেই নির্মলা আসিয়া হাজির। কৌতুকের সুরে বলিল - পায়ের ব্যথা-ট্যথা জানি নে, গরম জল আনতে ব’লে দিয়ে এলাম, এমন ক’রে সেঁক দেবো।-লাগে তো লাগবে-দুষ্টুমি করার বাহাদুরি বেরিয়ে যাবে-কমলা লেবু খাবেন একটা-না, তাও না ? মনিয়া চাকর গরম জল আনিলে নিৰ্মলা অনেকক্ষণ বসিয়া বসিয়া ব্যথার উপব সেঁক দিল ; নির্মলার ভাইবোনের সব দেখিতে আসিয়া ধরিল-ও দাদা, এইবার একটা গল্প বলুন না । অপুর মুখে গল্প শুনিতে সবাই ভালবাসে। নিৰ্মলা বলিল-হঁ্যা, দাদা এখন পাশ ফিরে শুতে পারছেন না-এখন গল্প না বললে চলবে কেন ?- “চুপ ক’রে বসে থাকো সাব-নিয়তো বাড়ির মধ্যে পাঠিয়ে দেব। পরদিন , সকালটা নির্মলা আসিল না। দুপুরের পর আসিয়া বৈকাল DB DBB DD Y DDBDS DB Bi DBDDB S DBDBDB DBuD DB t
পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।