পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কার্যবশতঃ আসিতে পারিলেন না । ইতিহাসের অধ্যাপক মিঃ বসুকে সভাপতির আসনে বসিতে সকলে অনুরোধ করিল। ভিড খুব হইয়াছে, প্রকাশ্য সভায় অনেক লোকের সম্মুখে দাডাইয়া কিছু করা অপুর এই প্রথম । প্রথমটা তাহার পা কঁাপিল, গলাও খুব কঁাপিল, কিন্তু ক্রমে বেশ সহজ হইয়া আসিল। প্রবন্ধ খুব সতেজ-এ। বয়সে যাহা দোষ থাকে-উচ্ছাস, অনভিজ্ঞ আইডিয়ালিজম, ভাল মন্দ নিবিশেষে পুরাতনকে ছাটিয়া ফেলিবার দম্ভ-বেপরোয়া সমালোচনা, তাহার প্রবন্ধে কোনটাই বাদ যায় নাই। প্রবন্ধ পড়িবার পরে খুব হৈ-চৈ হইল। খুব তীব্র সমালোচনা হইল। প্রতিপক্ষ কড়া কড়া কথা শুনাইয়া দিতে ছাড়িল না । কিন্তু অপু দেখিল অধিকাংশ সমালোচকই ফাক আওয়াজ করিতেছে। সে যাহা লইয়া প্রবন্ধ লিখিয়াছে, সে বিষয়ে কাহারও কিছু অভিজ্ঞতাও নাই, বলিবার বিষয়ও নাই, তাহারা তাহাকে মন্মথর শ্রেণীতে ফেলিয়া দেশদ্রোহী, সমাজদ্রোহী বলিয়া গালাগালি দিতে শুরু করিয়াছে। অপু মনে মনে একটু বিস্মিত হইল। হয়ত সে আরও পরিস্ফুট করিয়া লিখিলে ভাল করিত। জিনিষটা কি পরিষ্কার হয় নাই। এত বড় সভার মধ্যে তাহার নিতান্ত অন্তরঙ্গ দু’একজন বন্ধু ছাড়া সকলেই তাহার বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছে,-টিটকারি গালাগালির অংশের জন্য মন্মথকে হিংসা করার তাহার কিছুই নাই। শেষে সভাপতি তাহাকে প্রতিবাদের উত্তর দিবার অধিকার দেওয়াতে সে উঠিয়া ব্যাপারটা আরও খুলিয়া বলিবার চেষ্টা করিল। দু’চারজন সমালোচক-যাহাঁদের প্রতিবাদ সে বসিয়া নোট করিয়া লইয়াছিল, তাহাদিগকে উত্তর দিতে গিয়া যুক্তির খেই হারাইয়া ফেলিল। অপুর পক্ষ এই অবসরে আর এক পালা হাসিয়া লইতে ছাড়িল না। অপু রাগিয়া গিয়াছিল, এইবার মুক্তির পথ না ধরিয়া উচ্ছাসের পথ ধরিল। সকলকে সংকীর্ণমনা বলিয়া গালি দিল, একটা বিন্দ্রপাত্মক গল্প বলিয়া অবশেষে টেবিলের উপর একটা কিল মারিয়া এমার্সনের একটা কবিতা আবৃত্তি করিতে করিতে বক্তৃতার উপসংহার করিল। ছেলেদের দল খুব গোলমাল করিতে করিতে হলের বাহির হইয়া শেল । BBBD DD DDBB DBDDB DDSDD DDDBuDYDDB BB DBB BBBB চেষ্টা ছাড়া তাহার প্রবন্ধ যে অন্য কিছুই নহে। ইহাও অনেকের মুখে শোনা যাইতেছে। সে শেষের দিকে এমার্সনের এই কবিতাটি আবৃত্তি করিয়াছিল 'I am the owner of the sphere Of the seven stars and the solar year'