পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন এখানে খাইতে-পাওয়া নির্ভর করিতেছে নিজের কিছু একটা খুজিয়া বাহির করিষ্কার সাফল্যের উপর। কিন্তু তাহার সকলের চেয়ে দুর্ভাবনা মায়ের জন্য। " একটা পয়সা সে মাকে পাঠাইতে পারিল না, আজ এতদিন মা পত্র দিয়াছেন-কি করিয়া চলিতেছে মায়ের !-- { কিন্তু এখানে তো কোনও কিছুই আশা দেখা যায় না-এত বড় কলিকাতা শহরে পাডাগায়ের ছেলে, সহায় নাই, চেনাশোনা নাই, সে কোথায় যাইবেকি করিবে ? পথে একটা মাড়োয়ারীর বাড়িতে বোধ হয় বিবাহ। সন্ধ্যার তখনও সামান্য বিলম্ব আছে, কিন্তু এরই মধ্যে সামনের লাল-নীল ইলেকট্রিক আলোর মালা জ্বালাইয়। দিয়াছে, দু’চারখান। মোটর ও জুড়ি গাড়ি আসিতে শুরু করিয়াছে । লুচি-ভাজার মন-মাতানো সুগন্ধে বাডির সামনেটা ভরপুর। DuSBB DDDBD SDBD S SDBBDSYSDB S BB BDD DDD BB KBB স্টডেণ্ট-সারাদিন খাষ্ট নি—তবে খেতে দেবে না ?--ঠিক দেবে-এত বড় লোকে বা বাডি, কত লোক তো খাবে-বলতে দোষ কি ? কে-ই বা চিনবে আমায় এখানে ? কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিল না । সে বেশ বুঝিল, মনে ষোল আনা ইচ্ছা! থাকিলেও মুখ দিয়৷ একথা সে বলিতে পরিবে না কাহারও কাছে-লজ করিবে !! লাজ না করিলে সে যাইত। মুখচোরা হওয়ার অসুবিধা সে জীবনে পদে পদে দেখিয়া আসিতেছে । কলিকাতা ছাড়িয়া মনসাপোতা ফিরিবে ! কথাটা সে ভাবিতে পারে না। --প্রত্যেক রক্তবিন্দু বিদ্রোহী হইয়া ওঠে। তাহার জীবন-সন্ধানী মন তাহাকে বলিয়া দেয় এখানে জীবন, আলো, পুষ্টি, প্রসারিতা-সেখানে অন্ধকার, দৈন্য, নিভিয়া যাওয়া । কিন্তু উপায় কি তাহার হাতে ? সে তো চেষ্টার ত্রুটি করে নাই। সব দিকেই গোলমাল । কলেজের মাহিনী না দিলে, আপাততঃ পরীক্ষা দিতে দিলেও, বেতন শোধ না করিলে প্রমোশন বন্ধ। থাকিবার স্থানের এই দশা, দু’বেল ওষুধের কারখানার ম্যানেজার উঠিয়া যাইবার তাগিদ দেয়, আহার তথৈবচ, সুন্দর-ঠাকুরের দেন, মায়ের কষ্ট-একেই তো সে সংসারানভিজ্ঞ, স্বপ্নদর্শী প্রকৃতির-কিসে কি সুবিধা হয় এমনিই বোঝে না।--তাহাতে এই কয় দিনের ব্যাপার তাহাকে একেবারে দিশেহারা করিয়া তুলিয়াছে। বাসায় আসিয়া ছাদের উপর বসিল । একখানা খাপরা কুড়াইয়া আনিয়া ভাবিল-আচ্ছা, দেখি দিকি কোন পিঠটা পড়ে ? পরে নিশ্চিন্দিপুরে বাল্যে দিদির কাছে যেমন শিখিয়াছিল, সেইভাবে চােখ বুজিয়া খাপরাটা ছাড়িয়া