পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার ছেলেবেলার সেই uplift-এর ভাবটা, একটা joy বুঝলে ? একটা wg's transcendental joy-Gil ਲਝੇ মুখে তোমাকেবেলা পড়িলে দু’জনে ঈমারে কলিকাতায় ফিরিল। পরদিন কলেজের কমন-রুমে অনেকক্ষণ আবার সেই কথা । কলেজ হইতে উৎফুল্ল মনে বাহির হইয়া অনিল প্রথমে দোকানে এক কাপ চা খাইল, পরে ফুটপাথের ধারে দাডাইয়া একটুখানি ভাবিল, কালীঘাটে মাসীর বাড়ি যাওয়ার কথা আছে, এখন যাইবে কিনা। একখানা বই কিনিবার জন্য একবার কলেজ স্ত্রীটেও যাওয়া দরকার। কোথায় আগে যায় ? অপূর্ব একমাত্র ছেলে, যার কথা তার সব সময় মনে হয়। যে কোনরূপে হউক অপূৰ্বকে সে নিশ্চয়ই বিদেশ দেখাইবে। তলপেটে অনেকক্ষণ হইতে একটা কী বেদনা বোধ হইতেছিল, এইবার ষেন একটু বাডিয়াছে, হাটিয়া চৌরঙ্গীর মোড পর্যন্ত যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, সেটা আর ন। যাওয়াই ভাল। সম্মুখেই ডালহাউসি স্কোয়ারের ট্রাম, সে ভাবিলপরেরটাতে যাব, বেজায় ভিড়, ততক্ষণ বরং চিঠিখানা ডাকে ফেলে আসি । নিকটেই লাল রংয়ের গোল ডাকবাক্স ফুটপাথের ধারে, ডাকবাক্সটার গা ঘোষিয়া। একজন মুসলমান ফেরিওয়ালা পাকা কঁচকলা বিক্রী করিতেছে, তাহার বাজরায় পা না লাগে এই জন্য এক পায়ে ভর করিয়া অন্য পা-খানা একটু অস্বাভাবিক রকমে পিছনে বঁাকাভাবে পাতিয়া সে সবে চিঠিখানা ডাকবাক্সের মুখে ছাডিয়া দিয়াছে—এমন সময় হঠাৎ পিছন হইতে যেন কে তীক্ষ্ম বর্শা দিয়া তাহার দেহটা একোড-ওকেঁাড় করিয়া দিল, এক নিমিষে অনিল সেটাতে হাত দিয়া সামলাইতেও যেন অবকাশ পাইল না। --- হঠাৎ যেন পায়ের তলা হইতে মাটিটা সরিয়া গেলা-চোখে অন্ধকার-কাচকলার বাজরাব কানাটা মাথায় লাগিতেই মাথাটায় একটা বেদনা-মুসলমানটি কি বলিয়া উঠিল—হৈ হৈ, বহু লোক-কি হয়েছে মশায় ? কি হ’ল মশায় ?--সরো সরো-বাতাস করো• • • বরফ নিয়ে এসো • • •এই যে আমার রুমাল নিন না।-- অনিলের দু'টি মাত্র কথা শুধু মনে ছিল—একবার সে অতিকষ্টে গোঙাইয়া গোঙাইয়া বলিল-রি-রিপন কলেজ-অপুর্ব রায়-রিপন আর মনে ছিল সামনের একটা সাইন রোর্ড-গনেশচন্দ্র দা এণ্ড কোংকারবাইডের মশলা, তারপরেই সেই তীক্ষ্ম বর্শােটা পুনরায় কে যেন সজোরে তলপেটে ঢুকাইয়া দিল-সঙ্গে সঙ্গে সব অন্ধকার