পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৮

অপু আঁকুষি আনিলে দুজনে মিলিয়া বহু চেষ্টা করিয়াও চার পাচটার বেশী ফল পাড়িতে পারিল না-খুব উচু গাছ, সর্বোচ্চ ডালে ষে ফল আছে তাহা দুৰ্গা আঁকুষি দিয়াও নাগাল পাইল না। পরে সে বলিল-চল আজ এইগুলো নিয়ে যাই, নাইবার বেলায় মাকে সঙ্গে আনবো-মার হাতে ঠিক নাগাল আসবে। দে নোনাগুলো আমার কাছে, তুই আঁকুষিটা নে। নোলক পরবি ? একটা নীচু ঝোপের মাথায় ওড়, কলমীলতায় শাদা শাদা ফুলের কুঁড়ি, দুৰ্গা হাতের ফলগুলা নামাইয়া নিকটের ফুলের কুঁড়ি ছিড়িতে লাগিল। বলিলএদিকে সরে আয়, নোলক পরিয়ে দি তাহার দিদি ওড়া কলমী ফুলের নোলক পরিতে ভালবাসসে, বনজঙ্গল সন্ধান করিয়া সে প্রায়ই খুঁজিয়া আনিয়া নিজে পরে ও ইতিপূর্বে কয়েকবার অপুকেও পরাইয়াছে। অপু কিন্তু মনে মনে নোলক-পরা পছন্দ করে না। তাহার ইচ্ছা, বলে, নোলকে তাহার দরকার নাই। তবে দিদির ভয়ে সে কিছু বলিল না । দিদিকে চটাইবার ইচ্ছা তাহার আদৌ নাই, কারণ দিদিই। বনজঙ্গল ঘুরিয়া কুলটা, জামটা, নোনাটা, আমডাটা সংগ্রহ করিয়া তাহাকে লুকাইয়া খাওয়ায়, এমন সব জিনিস জুটাইয়া আনে, যাহা হয়তো কুপথ্য হিসাবে উহাদের খাইতে নিষেধ আছে। কাজেই অন্যায় হইলেও দিদির কথা না শুনা তাহার সাহসে কুলায় না । একটা কুঁড়ি ভাঙিয়া সাদা জলের মত যে আঠা বাহির হইল, তাহার সাহায্যে দুর্গ অপুর নাকে কুঁড়ি আঁটিয়া দিল, পরে নিজেও একটা পরিলতারপর ভাইয়ের চিবুকে হাত দিয়া নিজের দিকে ভাল করিয়া ফিরাইয়া বলিল-দেখি কেমন দেখাচ্চে ? বাঃ বেশ হয়েচে-চল মাকে দেখাইগে श्रश्नू नख्रिज्ञ्श् बजिन-मा िि-চল না-খুলে ফেলিসনে যেন-বেশী হয়েচেবাড়ী আসিয়া দুৰ্গা নোনাফলগুলি রান্নাঘরের দাওয়ায় নামাইয়া রাখিল । সৰ্বজন্ম রাধিতেছিল-দেখিয়া খুব খুশি হইয়। বলিল-কোথায় পেলি রে ? দুৰ্গা বলিল— ঐ লিচু-জঙ্গলে-অনেক আছে, কাল গিয়ে তুমি পাড়বে মা ? এমন পাকা-একেবারে সি দুরের মত রাঙা BB BDDDD uBDBD DDD DDDYBDBBB uLJYS অপু নোলক পরিয়া দিদির পিছনে দাড়াইয়া আছে। সর্বজয়ী হাসিয়া বলিল-ও মা ! ও আবার কে রে ?-কে চিনতে তো পারাচি নে অপু লজ্জায় তাড়াতাড়ি নাকের ডগা হইতে ফুলের द्वैख्रि भूजिम्र ८ ब्रिज । --বলিল ঐ দিদি পরিয়ে দিয়েচে 铅°