পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৮৪

আরও দেব-দ্যাখে তো খেয়ে, মিষ্টি হয় নি তো ?’-তোমার তো আবার একটুখানি গুড়ে হবে না । খাইতে খাইতে অপু ভাবিল-বেশ তো শিখেছে করতে। বেশপবে দেওয়ালের দিকে চোখ পড়াতে বলিল,-বাঃ ও-রকম আলপনা। দিয়েছে কে ? ভারী সুন্দব তো । অপর্ণা মৃদু হাসিল,-ভাদ্র মাসের লক্ষ্মীপূজোতে তো এলে না । আমি বাডিতে পূজো করলাম,-মা কবতেন, সিঁদুরমাখা কাঠা দেখি তোলা রয়েছে, তাতে নতুন ধান পেতে-বামুন খাওয়ালাম। তুমি এলেও দু’টি খেতে পেতে গো-তারই ঐ আলপনা -ਚਲ তুমি ভারী গিয়ী হয়ে উঠেছ দেখছি! লক্ষ্মীপূজা, লোক খাওয়ানো-আমার কিন্তু এসব ভারী ভাল লাগে অপর্ণ-সত্যি, মাও খুব ভালবাসতেন-একবার তখন আমবা এখানে নতুন এসেছি—একজন বুডোমত লোক আমাদের উঠোনের ধারে এসে দাডিয়ে বললে,-খোকা ক্ষিদে পেয়েছে, DBB DD gDDLBBDB BB YiDDDB DBBB DBB BDBDDBS D BDB DDD খেতে চাচ্ছে, ওকে খানকতক রুটি করে খাওয়ালে ভারী খুশী হবে,-খাওয়াবে মা ? মা! কি করলেন বলে তো ? --রুটি তৈরী ক’রে বুঝি--তা নয়। মা একটু ক’রে সরের ঘি ক’রে রাখতেন, আমি বোডিং থেকে -1 ডিটাডি এলে পাতে দিতেন। আমায় খুশী করবার জন্য মা সেই ঘি দিয়ে আট-দশখানা পরোটা ভেজে লোকটাকে ডেকে, দাওয়ার কোলে পিন্ডি পেতে খেতে দিলেন। লোকটা তো অবাক, তার মুখের এমন ভাব হ’ল ! বাত্রে অপর্ণা বলিল-দ্যাথো, মা চিঠি লিখেছেন,-পূজোর পর মুবাবি-দা আসবেন নিতে, পাঁচ-ছমাস যাই নি, তুমি যাবে আমাদের ওখানে ? অপুর বড় অভিমান হইল। সে এত আশা করিয়া পূজার সময় বাডি আসিল, আর একদিকে কিনা অপর্ণা বাপের বাড়ি যাইবার জন্য পা বাডাইয়া আছে। সে-ই তাহা হইলে ভাবিয়া মরে, অপর্ণার কাছে বাপেব বাডি যাওয়াটাই অধিকতর লোভনীয় ! অপু উদার স্বরে বলিল-বেশ, যাও। আমার যাওয়া ঘটবে না, ছুটি নেই। এখন। কথাটা শেষ করিয়া সে পাশ ফিরিয়া শুইয়া বই পড়িতে লাগিল । অপর্ণা খানিকক্ষণ পরে বলিল-এবার যে বইগুলো এনেছ আমার জন্যে, ওর মধ্যে একখানা ‘চয়নিক’ তো আনলে না ? সেই যে সে-বার বলে গেলে জন্মাষ্টমীর সময় ? এক-আধা কথার জবাব পাইয়া ভাবিল সারা দিনের কষ্টে স্বামীর হয়ত ঘুম আসিত্তেছে। তখন সেও ঘুমাইয়া পড়িল। 颜 R