পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেছোকরার কাছে কি কোন কথা বলতে আছে-আমি যাই, তাই বলি !" হাসি সোজা ভাই, কই দাও দিকি ম্যানেজারকে ল’লে পাঁচ টাকা মাইনে तांख्रिश ? ह, ऊश (बळ|- অপুকে হাটতে হয় রোজ অনেকটা। তার বাসা শ্রীগোপাল মল্পিক লেনের মধ্যে গোলদীখিব কাছে। তের টাকা ভাডাতে নীচু একতলা ঘর, ছোট রান্নাঘব। সামান্য বেতনে দু’জায়গায় সংসাব চালানো অসম্ভব বলিয়া আজ বছরখানেক হইল সে অপর্ণাকে কলিকাতায় আনিয়া বাসা করিয়াছে। তবু এখানে চাকরিটি জুটিয়াছিল। তাই বক্ষ - শৈশবের স্বপ্ন এ ভাবেই প্রায় পর্যবসিত হয়। অনভিজ্ঞ তরুণ মনের উচ্ছাস, উৎসাহ-মাধুর্যভরা রঙীন ভবিষ্যতেব স্বপ্ন-স্বপ্ন থাকিয়া যায়। যে ভাবে বড় সওদাগর হইবে, দেশে দেশে বাণিজ্যের কুঠি খুলিবে, তাহাকে হইতে হয়। পাঙাগায়েণ হাতুড়ে ডাক্তার, ষে ভাবে ওকালতি পাস করিয়া রাসবিহারী ঘোষ হইবে, তা হাকে হহঁতে হয় কয়লার দোকানী, যাহার আশা থাকে সারা পৃথিবী ঘুবিয়া দেখিয়া বেড়াইবে, কি দ্বিতীয় কলম্বাস হইবে, তাহাকে হইতে হয় চল্লিশ টাকা বেতনের স্কুলমাস্টার। শতকবা নিরানব্বই জনের বেলা য। হয়, অপুর বেলাও তাহার ব্যতিক্রম হয় নাই । যথানিয়মে সংসার-যাত্রা, গৃহস্থালী, কেরানীগিরি, ভাডা বাডি, মেলিনস ফুড ও ওয়েল ক্লথ। তবে তাহার শেষোক্ত দুটির এখনও আবশ্যক श्श नाझे-qझे यां । অপর্ণ ঘবেব দোরেব কাছে বঁটি পাতিয়া কুটুনা কাটিতেছে, স্বামীকে দেখিয়া বলিল-আজ এত সকাল সকাল যে । তারপর সে বঁটিখানা ও তারকারীর চুপডি একপাশে সরাইয়া রাখিয়া উঠিয়া দাডাইল। অপু বলিল, খুব সকাল আর কৈ, সাতটা বেজেছে, তবে অন্য দিনের তুলনায় সকাল বটে। হঁ্যা, তেলওয়ালা আর আসে নি তো ? —এসেছিল একবার দুপুরে, ব’লে দিয়েছি। বুধবারে মাইনে হ’লে আসতে, তোমার আসবার দেরি হবে ভেবে এখনও আমি চায়ের জল চড়াই নি । কলের কাছে অন্য ভাড়াটেদের বিস্তু-বৌয়েরা এ সময় থাকে বলিয়া অপর্ণা স্বামীর হাত-মুখ ধুইবার জল বারান্দার কোণে তুলিয়া রাখে। অপু মুখ ধুইতে গিয়া বলিল, রজনীগন্ধ গাছটা হেলে পড়েছে কেন বল তো ? একটু বেঁধে দিও। চা খাইতে বসিয়াছে, এমন সময়ে কলের কাছে কোন প্রৌঢ়া-কণ্ঠের কর্কশ। আওয়াজ শোনা গেল-তা হলে বাবু একশো টাকা বাড়িভাড়া দিয়ে সাহেব ak