পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ে বাস করাবেন--নিকটেই বেগমপুরে ওঁদের।--বেশ জায়গা-কাল তোকে দেখাব চািল-ওঁরাই ঘরাদোর বেঁধে দেবেন বলেছেন-আপাতত মাটির, মানে বিচুলির ছাউনি, এদেশে উলুখড় হয় না। কিনা ! প্রণব সঙ্গে লইয়া যাইবার জন্য খুব পীড়াপীড়ি করিল-অপু তর্ক করিল, নিজের অবস্থার প্রাধান্য প্রমাণ করিবার উদ্দেশ্যে নানা যুক্তির অবতারণা করিল, শেষে রাগ করিল, বিরক্ত হইল-যাহা সে কখন হয় না। প্রকৃতিতে তাহার রাগ বা বিরক্তি ছিল না কখনও। অবশেষে প্রণব নিরুপায় অবস্থায় পরদিন সকালের ট্রেনে কলিকাতায় গেল । যাইবার সময় তাহার মনে হইল, সে অপু যেন আর নেই। -প্রাণশক্তির প্রাচুর্য একদিন যাহার মধ্যে উছলিয়া উঠিতে দেখিয়াছে, আজ সে যেন প্রাণহীন নিম্প্রভ । এমনতর স্কুল তৃপ্তি বা সন্তোষ-বোধ, এ ধরণের আশ্রয় আঁকড়াইয়া ধরিবার কাঙালপণা কই অপুর প্রকৃতিতে তো ছিল না। কখনও ? স্কুল হইতে ফিরিয়া রোজ অপু নিজের ঘরের রোয়াকে একটা হাতলভাঙা চেয়ার পাতিয়া বসিয়া থাকে। এখানে সে অত্যন্ত একা ও সঙ্গীহীন মনে করে, বিশেষ করিয়া সন্ধ্যাবেল। সেটা এত অসহনীয় হইয়া উঠে, কোথাও একটু বসিয়া গল্প গুজব করিতে ভাল লাগে, মানুষের সঙ্গ সম্পূহনীয় মনে হয়, কিন্তু এখানে অধিকাংশই পাটকলের সর্দার, বাবু, বাজারের দোকানদার, তাও সবাই তাহার অপরিচিত। বিশু স্যাকুরার দোকানের সান্ধ্য আড্ডা। সে নিজে খুজিয়া বাহির করিয়াছে, তবুও ন’টা-দশটা পর্যন্ত রাত একরকম কাটে ভালই। অপুর ঘরের রোয়াকটার সমীনেই মার্টিন কোম্পানীর ছোট লাইন, সেটা পার হইয়া একটা পুকুর, জল যেমন অপরিষ্কার, তেমনি বিস্বাদ । পুকুরের ওপারের একটা কুলিবন্তি, দু'বেলা যত ময়লা কাপড সবাই এই পুকুরেই কাচিতে নামে। রৌদ্র উঠিলেই কুলি লাইনের ছাপ-মারা খয়েরী-রংয়ের বারো-হাতী শাড়ি পুকুরের ও-পারের ঘাসের রৌদ্রে মেলানো অপুর রোয়াক হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। কুলিবন্তির ও-পাশে গোটাকতক বাদাম গাছ, একটা ইটখোলা, খানিকটা ধানক্ষেত, একটা পাটের গাটবন্দী কল । এক একদিন রাত্রে ইটের পাজার ফাটলে রাঙা ও বেগুনী আলো জলে, মাঝে মাঝে নিভিয়া যায়, আবার জলে, অপু নিজের রোয়াকে বসিয়া বসিয়া মনোযোগের সঙ্গে BBD SS DBDD DDD DD DDD BBDBB BD DBDDD DB uuB আসে-অপুর রোয়াক ঘেষিয়া যায়-পোটলা-পুটলি, লোকজন, মেয়েরাপাশেই স্টেশনে গিয়া থামে, একটু পরেই বাঁকুড়াবাসী ব্রাহ্মণটি তেলেভাজা ܚܠܵܦܦܠܦ̈ܚܚ