পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘটিল ? মেয়েটি ঠিকানা জানে না, নয় তো লিখিতে ভুলিয়াছে। অপটু লেখার ছত্রে ছত্রে যে আন্তরিকতা ফুটিয়াছে তাহার প্রতি সন্মান দেখাইবার জন্য পত্রখান সে তুলিয়া লইয়া নিজের বাক্সে আনিয়া রাখিল। মেয়েটির ছবি চোখের সম্মুখে ফুটিয়া উঠে-পনেরো-ষোল বৎসর বয়স, সুঠাম গঠন ছিপছিপে পাতলা, একরাশ কালো কেঁকুড়া কেঁকুড়া চুল মাথায়। ডাগর চোখ। --কখন সে তাহার মেজাদাদার পত্রের উত্তরের অপেক্ষায় বৃথাই পথ চাহিয়া আছে! মানব মনের এত প্রেম, এত আগ্রহভরা আহবান, পবিত্র বালিকাহািদয়ের এ অমূল্য অৰ্ঘ্য কেন জগতে এভাবে ধূলায় অনাদরে গড়াগডি যায়, কেহ পোছে না, কেহ তা লইয়া গর্ব্ব করে না ? বিশ্বস্তুর স্যাকৃরার দোকানে সেদিন রাত এগারটা পর্যন্ত জোর তাসের আডা চলিল-সবাই উঠিতে চায়, সবাই বলে রাত বেশী হইয়াছে, অথচ অপু সকলকে অনুরোধ করিয়া বসায়, কিছুতেই খেলা ছাডিতে চায় না। অবশেষে অনেক রাত্রে বাসায় ফিরিতেছে, কলুদের পুকুরের কাছে স্কুলের থার্ড পণ্ডিত আশু সামান্য লাঠি ঠক ঠক্‌ করিতে করিতে চলিয়াছেন। অপুকে দেখিয়া বলিলেন, কি অপূর্ববাবু যে, এত রাত্রে কোথায় ? -কোথাও না , এই বিশু স্যাকৃরার দোকানে তাসেরথার্ড পণ্ডিত এদিক-ওদিক চাহিরা নিম্ন-সুরে বলিলেন-একটা কথা আপনাকে বলি, আপনি বিদেশী লোক-পূর্ণ দীঘ উীর খপ্পরে পড়ে গেলেন কি ক'রে বলুন তো ? অপু বুঝিতে না পারিয়া বলিল, খপ্পরে-পড়া কেমন বুঝতে পারছি নে-কি ব্যাপারটা বলুন তো ? পণ্ডিত আরও সুর নীচু করিয়া বলিল-এখানে ঘন-ঘন যাওয়া-আসা আপনার কি ভাল দেখাচ্ছে, ভাবছেন ? ওদের টাকাকড়ি দেওয়া ও-সব ? আপনি হচ্ছেন ইস্কুলের মাস্টার, আপনাকে নিয়ে অনেক কথা উঠেছে, তা বোধ করি। জানেন না ? -ना ! कि कथा ? —কি কথা তা আর বুঝতে পারছেন না মশাই ? হু-পরে কিছু থামিয়া বলিলেন-ও সব ছেড়ে দিন, বুঝৰেন ? আরও একজন আপনার আগে ঐ রকম ওদের খপ্পরে পড়েছিল, এখানকার নন্দ গুইয়ের আবগারী দোকানে কাজ করত, ঠিক আপনার মত অল্প বয়স-মশাই, টাকা শুষে শুষে তাকে একেবারে -ওদের ব্যবসাই ঐ । সমাজে একঘরে, করবার কথা হচ্ছে-থার্ড পণ্ডিত একটু খামিয়া একটু অর্থসূচক হাস্য করিয়া বলিলেন,-আমার ও মেয়ের এমন মোেহই Revo