পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বা কি, শহর অঞ্চলে বরং ওর চেয়ে ঢেরা অপু এতক্ষণ পর্যন্ত পণ্ডিতের কথাবার্তার গতি ও বক্তব্য-বিষয়ের উদ্দেশ্য কিছুই ধরিতে পারে নাই-কিন্তু শেষের কথাটাতে সে বিস্ময়ের সুরে বলিল— কোন মেয়ে, পটেশ্বরী ? -হা হা হা, থাক থাকৃ, একটু আস্তেকি করেছে বলছেন-পটেশ্বরী ? —আমি আর কি বলছি কিছু, সবাই যা বলে আমিও তাই বলছি। নতুন কথা আব্ব কিছু বলছি কি ? যাবেন না ও-সবে, তাতে বিদেশী লোক, সাবধান ক’বে দি । ভদ্রলোকের ছেলে, নিজের চরিত্রটা আগে রাখতে হবে ভাল, বিশেষ যখন ইস্কুলের শিক্ষক এখানকার । থার্ড পণ্ডিত পাশের পথে নামিয়া পড়িলেন, অপু প্রথমটা অবাৰু হইয়া গিয়াছিল, কিন্তু বাসায় ফিরিতে ফিরিতে সমস্ত ব্যাপারটা তাহাব কাছে পরিষ্কার হইয়া গেল । পূর্ণ দীঘডার বাডিতে যাওয়া-আসার ইতিহাসটা এইরূপ-- প্রথমে এখানে আসিয়া অপু কয়েকজন ছাত্র লইয়া এক সেবা-সমিতি স্থাপন কবিয়াছিল। একদিন সে স্কুল হইতে ফিরিতেছে, পথে একজন অপরিচিত প্রৌঢ় ব্যক্তি তাহাব হাত দুটা জড়াইয়া ধরিয়া প্রায় ডাক ছাডিয়া কঁাদিয়া বলিল, আপনার না দেখলে আমার ছেলেটা মারা যেতে বসেছে-আজ পনেরো দিন টাইফায়েড, তা আমি কলের চাকরি বজায় বাখব না রুগীর সেবা করব ? আপনি দিন-মানটাব জন্যে জনকতক ভলান্টিয়াব যদি আমার বাডি-আর সেই সঙ্গে যদি দু-একদিন আপনি তেত্রিশ-দিনে রোগী আরাম হইল। এই তেত্রিশ দিনের অধিকাংশ দিনই অপু নিজে ছাত্রদের সঙ্গে প্রাণপণে খাটিয়াছে। রাত্রি তিনটায় ঔষধ খাওয়াইতে হইবে, অপু ছাত্রাদিগকে জাগিতে না দিয়া নিজে জাগিয়াছে, তিনটা না বাজা পর্যন্ত বাহিরের দাওয়াবা একপাশে বই পডিয়া সময় কাটাইয়াছে, পাছে এমনি বসিয়া থাকিলে ঘুমাইয়া পড়ে। একদিন দুপুরে টাল খাইয়া রোগী যায়-যায় হইয়াছিল। দীঘড়ী মশায় পাটকলে, সে দিন ভলান্টিয়ার-দলের আবার কেহই ছিল না, দুপুরে ভাত খাইতে গিয়াছিল। অপু দীঘড়ী মশায়ের স্ত্রীকে ভরসা দিয়া বুঝাইয়া শান্ত রাখিয়া মেয়ে দুটির সাহায্যে গরম জল করাইয়া বোতলে পুরিয়া সেঁক-তাপ ও হাত-পা ঘষিতে ঘষিতে আবার দেহের উষ্ণতা ফিরিয়া আনে । BB BB BD iD DDE BBDD DDBDSqiLLLLLiiLLL DD R.