পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহির হয় নাই। এতক্ষণ পরে সর্বজয়া কথা খুজিয়া বলিল-কি, কি খুড়ীমা ? কা হয়েচে ? পরে সে রান্নাঘরের দাওয়া হইতে ব্যগ্রভাবে উঠিয়া शनिव्न । -এই দ্যাখে না কি হয়েছে, কীতিখানা দ্যাখো না একবার-তোমার মেয়ে সেদিন খেলতে গিয়ে টুনুর পুতুলের বাক্স থেকে এই পুতির মালা চুরি করে নিয়ে এসেছে-মেয়ে কদিন থেকে খুঁজে খুঁজে হয়রান। তারপর সতু গিয়ে বললে যে, তোর পুতির মালা দুগ গাদিদির বাক্সের মধ্যে দেখে এলাম-দ্যাখে একবার কাণ্ড-তোমার ও মেয়ে কম নাকি ?’-চোর-চোরের বেহদা চোর-আর ওই দ্যাখো না-বাগানের আমগুলো গুটি পড়তে দেরি সয় না-চুরি করে নিয়ে এসে বাক্সে লুকিয়ে রেখেচে । যুগপৎ দুই চুরির অতর্কিততায় আড়ষ্ট হইয়া দুৰ্গা পাচিলের গায়ে ঠেস দিয়া দাড়াইয়া ঘামিতেছিল । সবজয় জিজ্ঞাসা করিল -এনিচিস এই মালা ওদের বাড়ী থেকে ? দুৰ্গা কথার উত্তর দিতে না দিতে সেজ-বেী বলিলেন-ন আনলে কি আর মিথ্যে করে বলচি নাকি! বলি এই আম কটা দ্যাথো না ? সোনামুখীর আম চেন না নাকি ? এও কি মিথ্যে কথা ? সবজয়া অপ্রতিভ হইয়া বলিল-না। সেজখুড়ী, আপনার কথা মিথ্যে তা তো বলিনি ! আমি ওকে জিজ্ঞেস করাচি । সেজ-ঠাকুরুণ হাত নাড়িয়া কাজের সহিত বলিলেন-জিগ্যেস করে। আর যা করে। বাপু, ও মেয়ে সোজা মেয়ে হবে না। আমি বলে দিচ্চি—এই বয়েসে যখন চুরি বিদ্যে ধরেচে, তখন এর পর যা হবে সে টেরই পাবে। চল রে সত্যু --নে-আমের গুটিগুলো বেঁধে নৌ-বাগানের আমগুলো লক্কিাছাড়া ছুড়ীর জালায় যদি চোখে দেখবার জো আছে। টুম্ন, মালা নিইচিস তো ? সর্বজয়ার কি জানি কেমন একটু রাগ হইল-ঝগড়াতে সে কিছু পিছু হাটবার পাত্র নয়, বলিল পুতির মালার কথা জানিনে সেজ-খুড়ী, কিন্তু আমের । গুটিগুনো, সেগুনো পেড়েছে কি তলা থেকে কুড়িয়ে এনেছে, তার গায়ে তো নাম লেখা নেই। সেজখুড়ী-আর ছেলেমানুষ যদি ধরে এনেই থাকে সেজ ঠাকুরুণ অগ্নিমূতি হইয়া বলিলেন-বলি কথাগুলো তো বেশ কেটে কেটে বলচো ? বলি আমের গুটিতে নাম লেখা না হয় নেই-ই, তোমাদের কোন বাগান থেকে এগুলো এসেছে তা বলতে পার ? বলি টাকাগুনোতেও তো নাম লেখা ছিল না।--তা তো হাত পেতে নিতে পেরেছিলে ? আজ এক বচ্ছরের ওপর হয়ে গ্যালো, আজ দেবো কাল দেবে-আসবো এখন ওবেল