পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবে না, আপনি আর একটু ছানার ডালনা নিন-ও কি, মোচার চাপ পাতে রাখলেন। কার জন্যে ? সে শুনব না এই সময় একটি পনেরো-ষোল বছরের ছেলে উঠানে আসিয়া দাড়াইল । বন্ধু বলিল-এসে এসো কুঞ্জ, এসে বাবা, এইটি আমার শালীর ছেলে, বাগবাজারে থাকে । আমার সে ভায়েরা-ভাই মারা গেছে। গত শ্রাবণ মাসে । পাটের প্রেসে কাজ করত, গঙ্গার ঘাটে রেললাইন পেরিয়ে আসতে হয় । তা রোজই আসে, সেদিন একখানা মালগাড়ি দাড়িয়ে আছে। তা ভাবলে, আবার অতখানি ঘুরে যাবে ? যেমন গাডির তলা দিয়ে গলে আসতে গিয়েছে আর অমনি গাড়িখানা দিয়েছে ছেডে। তারপর চাকায় কেটে-কৃটে একেবারে আর কি-দু’টি মেয়ে, আমার শালী আর এই ছেলেটি, একরকম ক’রে বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে চলছে। উপায় কি ?--তাই আজ ভাল খাওয়াটা আছে, কাল স্ত্রী বললে, যাও কুঞ্জকে বলে এসো-ওরে বসে যা বাবা, থালা না থাকে বসে যা না একখানা পাতা পেতে। হাত-মুখটা ধুয়ে আয় বাবা-এত দেরি ক’রে ফেললি কেন ? বেলা বেশী ছিল না । খাওয়া-দাওয়ার পর গল্প করিতে করিতে অনেক রাত হইয়া গেল। অপু বলিল, আচ্ছা আজ উঠি ভাই, বেশ আনন্দ হ’ল। আজ অনেকদিন পরে বন্ধু বলিল, ওগো, অপূৰ্বকে আলোটা ধরে গলির মুখটা পার ক’রে দাও তো ? আমি আর উঠতে পারি নে— একটা ছোট্ট কেরোসিনের টেমি হাতে বৌটি অপুর পিছনে পিছনে চলিল। অপু বলিল, থাক, বৌ-ঠাকরুণ, আর এগোবেন না, এমন আর কি অন্ধকার, যান। আপনি -আবার কবে আসবেন ? —ঠিক নেই, এখন একটা লম্বা পাড়ি তো দি--বেতন, একটা বিয়ে-থা করুন না ? পথে পথে সন্ন্যাসি হয়ে এ রকম বেড়ানো কি ভাল ? মাও তো নেই শুনেছি। কবে যাবেন আপনি ? -যাবার আগে একবার আসবেন না, যদি পারেন। w --তা হয়ে উঠবে না বৌ-ঠাকুরুণ। ফিরি। যদি আবার তখন বরং-আচ্ছা! as বৌটি টমি হাতে গলির মুখে দাড়াইয়া রহিল। পরদিন সে সকালে উঠিয়া ভাবিয়া দেখিল, হাতের পয়সা নানারকমে Rp