পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানিল, ত্রিশ মাইল পথের দুধারে শুধু বন আর পাহাড়। কথাটা শুনিয়া অপুর ভারি আনন্দ হইল। বন, কি রকম বন ? খুব ঘন ? বাঘ পর্যন্ত আছে ! বা-কিন্তু এখন কি করিয়া যাওয়া যায় ? কথায় কথায় গোড় লোকটি বলিল, তিন টাকা পাইলে সে নিজের ঘোড়াটা ভাড়া দিতে রাজী আছে। অপু রাজী হইয়া ঘোড়া আনিতে বলতে লোকটা বিস্মিত হইল। আর বেলা কতটুকু আছে, এখন কি জঙ্গলের পথে যাওয়া যায় ? আপু নাছোড়বান্দা । সামনের এই সুন্দর জ্যোৎস্নাভিরা রাত্রে জঙ্গলের পথে ঘোড়ায় চাপিয়া যাওয়ার একটা দুৰ্দমনীয় লোভ তাহাকে পাইয়া বসিল-জীবনে এ সুযোগ কটা আসে, এ কি ছাড়া যায় ? গোড় লোকটি জানাইল, আরও এক টাকা খোরাকি পাইলে সে তলপি বহিতে রাজী আছে। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে অপু ঘোড়ায় চড়িয়া রওনা হইলপিছনে মোট-মাথায় লোকটা । স্নিগ্ধ বাত্রি-স্টেশন হইতে অল্পদুরে একটা বন্তি, একটি পাহাড়ী নালা, বঁাক ঘুরিয়াই পথটা শাল-বনের মধ্যে ঢুকিয়া পডিল। চারিধারে জোনাকি পোকা জলিতেছে-রাত্রির অপূর্ব নিস্তব্ধতা, ত্রয়োদশীর চাঁদের আলো শালপলাশের পাতার ফঁাকে ফঁাকে মাটির উপর যেন আলো-আঁধারের বুটি-কাটা জাল বুনিয়া দিয়াছে। অপু পাহাড়ী লোকটার নিকট হইতে একটা শালপাতার পাইপ ও সে-দেশী তামাক চাহিয়া লইয়া ধরাইল বটে, কিন্তু দুটান দিতেই মাথা কেমন ঘূরিয়া উঠিল—শালপাতার পাইপটা ফেলিয়া দিল । BD DBD DDYKK DDD DBBBSBDB DBBE KDSgDBSuBuBDD বিছানো পাহাড়ী নদীর তীরে ছোট ফার্ণের ঝোপ, কি ফুলের সুবাস, রাত্রিচর পাখির ডাক। নির্জনতা, গভীর নির্জনতা ! মাঝে-মাঝে সে ঘোড়াকে ছটাইয়া দেয়, ঘোড়া-চড়া অভ্যাস তাহার অনেকদিন হইতে আছে। বাল্যকালে মাঠের ছুটা ঘোড়া ধরিয়া কত চড়িয়াছে, চাপদানীতেও ডাক্তারবাবুটির ঘোড়ায় প্রায় প্রতিদিনই চড়িত। সারারাত্রি চলিয়া সকাল সাড়ে সাতটায় উমেরিয়া পৌঁছিল। একটা ছোট গ্রাম-পোস্টাফিস, ছোট বাজার ও কয়েকটা গালার আড়ত। ফরেস্ট রেঞ্জার DuTDDDD DD DBDBDDDBD BDBD S DDD DDBBB BBB BBBD DBBBS আনুন, আস্থান, আপনি পত্র দিলেন না, কিছু না, ভাবলুম বোধ হয় এখনও আসবার দেরি আছে-এতটা পথ এলেন রাতারাতি ? ভয়ানক লোক তো আপনি ।