পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে উঠয়। সে ওঝাজিকে একখানা দশটাকার নোট দিয়া প্রণাম করিল। মিজেব একখানা ভাল বঁধানো খাতা লিখিবার জন্য দিল-কাছে আর টাকা বেশী ছিল না, থাকিলে হয়ত আরও দিত। তাহার একটা দুর্বলতা এই যে, যে একবাব তাহার হত্যুদয় স্পর্শ করিতে পারিয়াছে তাহাকে দিবার বেলায় সে মুক্তহস্ত, নিজের সুবিধা-অসুবিধা তখন সে দেখে না। ডাকবাংলো হইতে মাইল খানেক পরে পথ ক্রমে উপরের দিকে উঠতে লাগিল, ক্রমে আরও উপরে, উচ্চ মালভূমির উপব দিয়া পথ-শাল, বঁাশ, খযেব ও আবলুসেব ঘন অরণ্য-ডাইনে বামে উচুনীচু ছোট বড় পাহাড় ও টিলা-শালপুষ্পস্নবভি সকালেব হাওয়া যেন মনের আয়ু বাডাইয়া দেয়। চতুর্থ দিন বৈকালে অমরকণ্টক হইতে কিছু দূরে অপরূপ সৌন্দর্যভূমির সঙ্গে পবিচয় কইল-পথটা যেখানে নীচের দিকে নামিয়াছে, দুই দিকে পাহাডেব মধ্যে সিকিমাইল চওড়া উপত্যকা, দুধারের সাসুদেশের বন অজস্ৰ ফুলে ভরা-পলাশের গাছ যেন জ্বলিতেছে। হাত দুই উচু পাথরের পাড়, মধ্যে গৈরিক বালু ও উপলশয্যায় শিশু শোণ --নির্মল জলের ধাবা হাসিয়া খুশিয়া আনন্দ বিলাইতে বিলাইতে ছুটিয়া চলিয়াছে-একটা ময়ুৰ শিলাখণ্ডেব আডাল হইতে নিকটেৰ গাছেৰ ডালে উঠিয়া বসিল । অপুর্ব পা আব্ব নডিতে চায় না।--তাব মুগ্ধ ও বিস্মিত চোখের সম্মুখে শৈশব কল্পনার স্বৰ্গকে কে আবার এভাবে বাস্তবে পবিণত করিয়া খুলিয়া বিছাইয়া দিল ! এত দূববিসিপিত দিগ বলয় সে কখনও দেখে নাই, এত নির্জনতার কখনও ধাবণ ছিল না। তাহার-বহুদূবে পশ্চিম আকাশের অনতিকষ্ট সুদীঘ নীল শৈলরেখার উপবীকার আকাশটাতে সে কি অপৰূপ বর্ণসমূদ্র । কি অপূৰ্প দৃশ্য চোখের সম্মুখে যে খুলিয়া যায । এমন সে কখনও দেখে নাই--জীবনে কখনও দেখে নাই । এ বিপুল আনন্দ তাহার প্রাণে কোথা হইতে আসে । এই সন্ধ্যা, এই শ্যামলতা, এই মুক্ত প্রসারের দর্শনে যে অমৃত মাখনো আছে, সে মুখে তাহা কাহাকে বলিবে ?--কে তাহার এ চোখ ফুটাঙ্গল কে সঁাক-সকালের, সূর্যান্তের, নীল বনানীর শু্যামলতাব মায়া-কাজল তাহার চোখে श्रांझेशू ख्रिव्ल ? দূরবিন্সপিত চক্রবালরেখা দিগন্তের যতটুকু ষিরিয়াছে, তাহারই কোন কোন অংশে, বহুদূরে নোেমর খামলতা অনতিষ্পষ্ট সান্ধ্যাদিগন্তে বিলীন, কোন কোন অংশে, ধোয়া ধোয়া দেখা-যাওয়া বনরেখায় পরিস্পপুট, কোন দিকে সাদা-সাদা ৰকের দল আকাশের নীলপটে ডানা মেলিয়া দূলি দুষ্টতে দূরে চলিয়াছে’-মন 呕一o心 Sab”እ